কলকাতার ৪০ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩৫২ জন ভোটার রোববার সকাল থেকে চারহাজার ৯৫৯ বুথে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। আগামী পাঁচবছর কলকাতা কাদের প্রশাসনিক দখলে থাকবে তা নির্ধারণ করতেই এই ভোট। ২০১৫ সালে শেষ ভোট হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস তখন ১৬টি বড়োর ১৪৪টি ওয়ার্ড এর ১১৪টি পেয়ে ক্ষমতায় এসেছিলো। বামেরা ১৪টি, বিজেপি সাতটি ও কংগ্রেস পাঁচটি ওয়ার্ড জিতেছিল। এবারও অঘটন না ঘটলে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। তবে, বিধানসভা ভোটের মতো তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ এবার বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস ১৪৪টি ওয়ার্ড এই প্রার্থী দিয়েছে।
বিজেপি দিয়েছে ১৪২টি ওয়ার্ডে। সব থেকে বেশি ভোটার ৬৬ নম্বর ওয়ার্ড এ- ৯৫ হাজার ৩৮ জন। সব থেকে কম ভোটার ৮৭ নম্বর ওয়ার্ড এ- ১০হাজার ৩৩ জন। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে কলকাতাকে। প্রায় ২৩ হাজার পুলিশ পথে রয়েছে। আছে ১৮টি কুইক রেসপন্স টিম। সকাল সাতটায় ভোট নেওয়া শুরু হতেই উৎসবের মেজাজ দেখা যায়। টাকি স্কুলের বুথে মৃদু উত্তেজনা ছাড়া ভোট শান্তিতেই চলেছে। দক্ষিণ কলকাতার জিঞ্জিরা বাজার এলাকায় শুধু কার্টুজ, বোমা সহ দুই বাইক আরোহী ধরা পড়া ছাড়া কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি। কলকাতা পুলিশ এক হাজার ১৩৯ বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করে এই জায়গাগুলিকে নজরদারিতে রেখেছে।