ছাপ্পা ভোট, বুথ দখল, বোমাবাজি, প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের মাধ্যমে রবিবার কলকাতা পুরসভার ভোট হয়ে গেল। ১৪৪টি ওয়ার্ডের এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস নিঃসন্দেহে এগিয়ে। কিন্তু তাও সংঘাত-সন্ত্রাস দেখা গেছে এই নির্বাচনে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ভোটকে বলেছেন গণতন্ত্রের উৎসব। এমনই সেই উৎসব যে মহিলা সাংবাদিকদের লাথি মেরে, মাটিতে ফেলে পিটিয়ে মোবাইল ভেঙে দিতে হয়। বুথ দখল করতে বোমাবাজি করতে হয়, টাকি স্কুল বুথে বোমার আঘাতে একজনের পা উড়ে যায়, তিনজন জখম হয়, প্রার্থী প্রহৃত হন, প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেন প্রার্থীপদ। এ যেন গণতন্ত্রের কায়ায় সন্ত্রাসের ছায়া।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় যদিও বলেছেন, তৃণমূলের কেউ অপরাধ করলে এবং তা প্রমাণিত হলে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু প্রমাণ কে করবে? কেউ তো দলের জার্সি পরে সন্ত্রাস করে না।
তৃণমূল নিশ্চিত জয় জানার পরও এই সন্ত্রাস কেন?
তথ্যভিজ্ঞ মহল বলছেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দাবিমতে উৎসব পালিত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু যেখানে এতটুকু অনিশ্চয়তা ছিল সেখানে শাসকরা কোনও ঝুঁকি নেয়নি। যেন তেন প্রকারে জয় হাসিল করাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল। তাই তারা 'গো অ্যাজ ইউ লাইক'-এর খেলা দেখিয়েছে। তৃণমূলের প্রবল জনসমর্থনের সামনে অক্ষমের আর্তনাদ বিরোধীদের আচরণে দেখা গেছে। প্রতিরোধ করলেই সংঘাত–সন্ত্রাস। আসলে এমনিই জিততে পারতো তৃণমূল। কিন্তু অধিকতর নিশ্চিত হতেই এই হিংসা। তবে এক হাতে তো তালি বাজে না। তাই গণতন্ত্রের উৎসব সন্ত্রাসের অনুষ্ঠানে পরিণত হয়।
Kazi
১৯ ডিসেম্বর ২০২১, রবিবার, ৫:১৭বনেদি গণতন্ত্রের পশ্চিমা দেশ ছাড়া নির্বাচন জঘন্য সন্ত্রাসবাদে পরিণত । বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার সব দেশে একই অবস্থা ।