রবিবার দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনাটিতে শিউরে উঠলো হাওড়ার চ্যাটার্জীহাটের নন্দলাল মুখার্জি রোডের মানুষজন। বারো / দুই নম্বর ঠিকানার তিনতলার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হলো ৪২ বছরের গৌতম মাইতি ও তাঁর স্ত্রী ৪০ বছরের মৌসুমী মাইতির দেহ। গৌতম বাবু স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে মেরে নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। তাদের দুই মেয়ে তখন আঁকার ক্লাসে গিয়েছিল। ক্লাস থেকে ফিরে তারা ফ্ল্যাটের দরজায় ধাক্কা দেয়। কেউ দরজা না খোলায় তারা চিৎকার শুরু করে। পাড়ার লোকরা এসে ফ্ল্যাট এর দরজা ভেঙে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। আসে পুলিশ।
পুলিশকে ক্লাস নাইনের ছাত্রী মৌরুশী মাইতি জানায়, তার মায়ের খুব ফেসবুকের নেশা ছিল। দিনরাত মোবাইলে ফেসবুক ঘাঁটতো। এই নিয়ে বাবার সঙ্গে খুব ঝগড়া হত। রবিবার সকালেও হয়েছিল। তারপর তারা দু বোন আঁকার স্কুলে চলে যায়। ফিরে এসে এই অবস্থায় বাবা - মাকে দেখবে তা তারা কল্পনা করেনি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মৌসুমির ফেসবুক নেশা এত প্রবল ছিল যে সে বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গ পর্যন্ত ত্যাগ করেছিল। পুলিশ জানিয়েছে যে, ফেসবুক নিয়ে স্বামী - স্ত্রীর দ্বন্দ্ব ছিল। গৌতম বাবু মৌসুমীকে হত্যা করে নিজে আত্মঘাতী হন।