এ যেন হিচককিয়ান থ্রিলারকেও হার মানায়। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত উল মুজাহিদিন বা জেএমবি কি ভাবে ভারতে নাশকতার ছক করেছিল তা জানতে পারলে শিউরে উঠতে হয়। ছয় মাস আগে দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরে ধৃত চার জেএমবি জঙ্গি সম্পর্কে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এন আই এ ৬০ পাতার যে চার্জশিট জমা দিয়েছে তাতেই প্রকাশ্যে ষড়যন্ত্রের কাহিনী উন্মোচিত হয়েছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে যে বাংলাদেশ থেকে নাজিবুর রহমান, রবিউল ইসলাম, মিখ্যাইল খান এবং আব্দুল মান্নান নামে চার জঙ্গি হারিদেবপুরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতে আরম্ভ করে।
নিজেদের পেশা সম্পর্কে এরা পরিচয় দেয় সেলসম্যান এর। এদের কলকাতায় আনার পিছনে ছিল ২০১৬ সাল থেকে দমদম জেলে বন্দি জেএমবি মাস্টারমাইন্ড আনোয়ার হোসেন ওরফে ঈমান ওরফে কালোভাই। জেলে বসেই কালোভাই ভারতের বিভিন্ন শহরে নাশকতার পরিকল্পনা করে। কাজে লাগানো হয় জেএমবি জঙ্গিদের।
বনগাঁ ও বারাসত থেকে আরও রিক্রুট করা হয়। এই রকমই একজন রিক্রুট রাহুল কুমার এন আই এর হাতে ধরা পড়েছে। হারিদেবপুরে সেলসম্যান এর ছদ্মবেশে থাকা চারজনের বাড়ি থেকে কলকাতা সহ ভারতের বেশ কয়েকটি শহরের ম্যাপ, চার্ট, অলিগলির মানচিত্র উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও পাওয়া গেছে এই শহরের মন্দির মসজিদের তালিকা।
এন আই এ-এর গোয়েন্দাদের ধারণা বাংলাদেশ সরকার দ্বারা নিষিদ্ধ জেএমবি ভারতে তাদের কার্যকলাপ বাড়াতে চায় এই দেশকে আন্তর্জাতিক করিডর হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।