ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল আবাসিক হলের শাখা কর্মকর্তা সুজল কুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল কর্তৃপক্ষ। এক শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল এই কমিটি করা হয়। এর আগে গত ৫ই জানুয়ারি হল কর্মকর্তা সুজলের বিরুদ্ধে হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় দেয়ার হুমকি ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রিপন রায় প্রক্টর ও হল প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হলে ইচ্ছে মতো সিট বরাদ্দ দেয়া ও নিজের কর্তৃত্ব বিস্তারে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ বিস্তর অভিযোগ তোলে শিক্ষার্থীরা। এদিকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরপরই ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন মাধ্যমে অভিযোগ তুলে নিতে ওই কর্মকর্তা চাপ প্রয়োগ করে আসছেন। এ ছাড়া শনিবার সুজলের পক্ষে হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী সকাল ১০টার দিকে প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই লিখিত অভিযোগ হল কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি বলে জানিয়েছেন হলের প্রভোস্ট ড. রবিউল ইসলাম।
তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমরা আমলে নিচ্ছি না। আমরা মূল ব্যাপারটি উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে শেখ রাসেল হলে শনিবার বেলা ১১টার দিকে একটি মিটিং হয়। সহকারী প্রক্টর শাহেদ আহমেদকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। হল প্রভোস্ট ড. রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগকারী ও তার সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীদের কথা শুনেছি। বিষয়টি যেন সুন্দর পরিনতির দিকে যায় তাই এই তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা বসেছিলাম। সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। হল প্রভোস্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে।