প্রায় তিন দশক আগে পাঞ্জাবের জলন্ধরের স্টেডিয়ামে বসে ভারতীয় দলের তখনকার ওপেনার নাভজ্যোৎ সিং সিধুকে সেঞ্চুরি করতে দেখেছিলাম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সেই নাভজ্যোৎ সিং সিধুই প্রেমদিবসে-১৪ই ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবের খারাপ উইকেটে ব্যাটিং করতে নামছেন। তবে এবার অন্য ভূমিকায়। পাঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি তিনি। ১৪ই ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাব বিধানসভার নির্বাচনে কংগ্রেসকে ফের জিতিয়ে আনার কাজটি তার ওপর দিয়েছেন কংগ্রেসের দুই নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেন প্রিয়াঙ্কা ও রাহুল গান্ধী। কাজটি কত কঠিন তা জানেন সিধু। বিপক্ষে বোলার আপ এবং বিজেপি। কংগ্রেস থেকে সরে যাওয়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন আমরিন্দ সিং এর গুগলিও আছে।
ক্রিজে দাঁড়িয়ে ব্যাটিং করাটা শক্ত। সি ভোটারের সমীক্ষাও সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সি ভোটার ভোট পূর্বের যে সমীক্ষা করেছে তাতে তারা আপকে ৩২ শতাংশ এবং কংগ্রেসকে ২৭ শতাংশ ভোট দিয়েছে। বিজেপি - শিরোমণি অকালি দলের জোট পেতে পারে ১৭ শতাংশ ভোট। কিন্তু এই পরিসংখ্যান থেকেও সিধুকে যা ভাবাচ্ছে তা হলো সমীক্ষায় ৬৬ শতাংশ পাঞ্জাবে বদল চেয়েছে। চৌত্রিশ শতাংশ কংগ্রেসকে রেখে দেয়ার পক্ষেই। অরবিন্দ কেজরিওয়াল রবিবার ঘোষণা করেছেন, ১০৯টি আসনে আপ লড়বে। কৃষকদের ইস্যু সিধুর মাথাব্যাথার কারণ। কারণ পাঞ্জাবের অধিকাংশ কৃষিজীবী ভোটার মনে করে, বিজেপি তাদের ভাতে মেরেছে, কংগ্রেস কফিনে শেষ পেরেক পুতেছে। এই অবস্থায় তৃতীয় শক্তি আপ তাদের পছন্দ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সিধু প্রাণপাত পরিশ্রম করছেন। নেট প্র্যাকটিস আসল ম্যাচের সময় কাজ দেয় কিনা তা দেখার বিষয়।