স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্যের ভার্চুয়াল বৈঠক স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণের নির্দেশ, এই ছিল করোনা সম্পর্কিত দুটি বড় ঘটনা সোমবার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী বৈঠকে জানান, করোনার দ্বিতীয় অভিঘাতের সময় ২০ থেকে ২৩ শতাংশ আক্রান্তকে হাসপাতালে পাঠাতে হতো। এবার পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ রোগী হাসপাতালে যাচ্ছেন। তাই অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পাশাপাশি তিনি এই সতর্কবার্তাও দেন যে, ভবিষ্যতে হাসপাতালে যাওয়ার কেস বাড়তে পারে এমন অনুমান করে রাজ্যগুলিকে পরিকাঠামো তৈরি রাখতে হবে। এরপরই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের চিঠি এসে পৌছায় নবান্নয়। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ফাইনাল ইয়ার এমবিবিএস ছাত্রদের, জুনিয়র ডাক্তারদের, নার্সিং কলেজের ফাইনাল ইয়ার ছাত্রীদের এবং অবসর নিয়েছেন এমন চিকিৎসকদের তৈরি রাখতে। যে কোনো মুহূর্তেই তাদের প্রয়োজন হতে পারে।
এদিকে করোনা এবং ওমিক্রন ভারতে তার থাবা বসানোর পর ১৪তম দিনে সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। রবিবার সারা দেশে সংক্রমিত হয়েছিল এক লক্ষ ৮০ হাজার ৭৮ জন। সেখানে সোমবার মধ্য রাত পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে এক লক্ষ ৬৬ হাজার ৪৭১ জন। অর্থাৎ ৭.৫ শতাংশ কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দপ্তর অবশ্য এই পরিসংখ্যানে সন্তুষ্ট নয়। তাদের বক্তব্য, স্বাভাবিক কারণেই রবিবার টেস্ট কম হয় বলে আক্রান্তের সংখ্যা কম হয়। ভারতে গত ১৪ দিনে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে ২৮ গুন। পজিটিভিটি রেট ১৩.৩ শতাংশ। মৃত্যুর সংখ্যা গত চারদিন ধরে ১২০ এর আশেপাশে ঘুরাঘুরি করছে। একটি আশার কথা, কলকাতাসহ ভারতে বুস্টার ডোজ শুরু হয়েছে। টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে সোমবার ভ্যাকসিন নেয়ার বিষয়ে বেশ উৎসাহ দেখা যায়।
Kazi
১১ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ২:২১পূজা আর নির্বাচন, সম্ভবতঃ দুটির রেশ ছিল 14 দিন । এখন সেই রেশ কেটেছে । ধীরে ধীরে হয়তো গ্রাফ নিম্নমুখী হবে । কারণ বিভিন্ন স্থানে কারফিউ জারি আছে। আশা করা যায় সংক্রমণ কমবে ।