চড়া বাজারে দাম ওঠানামা করলেও ডলারের দাম খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন না অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয় এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, কার্ব মার্কেটের সঙ্গে আমাদের ডলারের দামে কিছুটা পার্থক্য আছে সেটা স্বীকার করছি। মূল্যস্ফীতির পরিমাণ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা বাইরে থেকে মালামাল কিনি দরের কারণে সেই মালামালের দামটা বাড়ে। যেহেতু রপ্তানি বাড়ছে, রপ্তানি করতে গিয়ে আমদানিও বাড়ছে। এসব কারণে কার্ব মার্কেট ও অফিসিয়াল মার্কেটে দামটা ওঠানামা করছে। এটা সারা বছরই হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা কোনো সমস্যা নয়।
আমরা তো এটা ক্যাপিং করে দেইনি। এটা ফ্লেক্সিবল থাকবে। কিন্তু সেটা অনেক বেশি পার্থক্য আমরা দেখতে পাবো না। এটা অনেক বেশি ওঠানামা করবে না। আমাদের মুদ্রানীতি এবং বার্ষিক আর্থিক নীতি অনেক বেশি এলায়েন। সে কারণে আমাদের এখানে বেশি একটা বাড়ার কোনোরকম সম্ভাবনা নেই। বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত সাংবাদিকদের তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন। অতিরিক্ত সচিব বলেন, অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য একটি এবং ক্রয়-সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৩টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ক্রয় প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাতটি, বিদ্যুৎ বিভাগের তিনটি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের দু’টি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১৩টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১০ হাজার ৭৯৪ কোটি ৮৪ লাখ ৮৩ হাজার ২৯৮ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৫৮৯ কোটি ৬৬ লাখ ২৬ হাজার ৭৭ টাকা এবং ভারত থেকে ঋণ ১ হাজার ২০৫ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ২২১ টাকা।