২০২২ সাল থেকেই মৈত্রী এক্সপ্রেস নতুন নির্মিত পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে চলবে। এর ফলে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে রেল দূরত্ব ৪০০ কিলোমিটার থেকে কমে ২৫০ কিলোমিটার হবে। এই পথ অতিক্রম করতে সময় লাগবে সাড়ে তিন ঘণ্টা। বাংলাদেশের এক পদস্থ রেলকর্তার সঙ্গে ভারতীয় রেলের এক উচ্চ পদস্থ কর্তার বৈঠকে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। পদ্মার উপর দিয়ে ৬.২ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ।
এই সেতু দিয়ে রেল ও গাড়ি চলার ব্যবস্থা থাকছে। ফলে ঢাকা-কলকাতা যাত্রীদের সুবিধা হবে। বর্তমানে মৈত্রী এক্সপ্রেস গেদে, দর্শনা হয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌছায় ১০ ঘণ্টায়।
নতুন ব্যবস্থায় মৈত্রী চলবে বনগাঁ-পেট্রাপোল হয়ে। ফলে সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকা পৌঁছাতে অসুবিধা হবে না। এর ফলে দু’দেশের অর্থনীতিও উপকৃত হবে। নতুন নির্মিত পদ্মা সেতুর একদিকে আছে মাওয়া এবং অন্যদিকে জাজিরা। এই দুটি জায়গাতেও নতুন করে সাড়া পড়েছে পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে।
শমিত চ্যাটার্জি
১৩ জানুয়ারি ২০২২, বৃহস্পতিবার, ৩:০৮অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। কবে ট্রেনে করে চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা পৌঁছোবো! যতদুর জানি মূল সেতুর দুই দিকে সংযোগকারী রেল লাইনের ব্যবস্থা করতে আরো অনেকটা সময় লাগবে। আমার মনের বাসনা কলকাতা থেকে ট্রেন WAP 5 ইলেকট্রিক ইঞ্জিন দিয়ে বনগাঁ পৌঁছোবে। বাংলাদেশ রেলওয়েকে ভারতীয় রেলওয়ে ৪৫০০ অশ্বশক্তির EMD ডিজেল লোকোমোটিভ উপহার দেবে একজোড়া। ওই ইঞ্জিন দিয়ে ঢাকা অবধি ট্রেনটি উচ্চ গতিতে যাবে। ভারতীয় অংশে ট্রেন ১৩০ কিমি/ঘন্টা লাইনের ব্যবস্থা করা খুবই সহজ। সামান্য উন্নয়নের কাজ করলে ছয় মাসের মধ্যে ট্র্যাকের এই অবস্থা করা সম্ভব। বাংলাদেশ অংশে উন্নয়ন করে অন্তত ১১০ কিমি/ঘন্টার উপযুক্ত করতে হবে। আশা করি বাংলাদেশ রেলওয়ে চেষ্টা করলে এটা করতে পারে। পুরোটা অটোমেটিক সিগন্যাল করতে হবে। ভারতীয় অংশে পঁচিশ বছর আগে থেকেই আছে। বাংলাদেশ অংশে করতে হবে।