তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়ে এখন তৃণমূলে ধুন্ধুমার। কেউ স্বীকার করছেন না বটে, কিন্তু অভিষেক পিসি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাইনের বাইরে গিয়ে, আগামী দু’মাস কোভিডের কারণে মিটিং-মিছিল, নির্বাচন সব বন্ধ থাক বলে যা বলেছেন তা অনুমোদন করছেন না দলের প্রবীণরা। তাঁরা বলছেন, তৃণমূলে একজনই নেত্রী- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথাই শেষ কথা। উল্লেখ্য, মমতা এই কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও সতর্কতা মেনে ভোট চান। তিনি চান না জনজীবন বিপর্যস্ত হোক।
অভিষেক ডায়মন্ড হারবার সাংসদ ক্ষেত্রে সমস্ত প্রচার, রাজনৈতিক কর্মসূচি, সমাবেশ বাতিল করেছেন। দিনে ৫০ হাজার করে মানুষের টেস্ট করাচ্ছেন।
তৃণমূলের নবীনরা বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রবীণরা একটু উল্টো সুরে। অনেকেই বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাইনের বাইরে চলে যাচ্ছেন ভাইপো অভিষেক। তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, নেত্রী একজনই। অভিষেক আগে গোয়া, ত্রিপুরা জিতে দেখান তারপর নেতা হিসেবে ওকে মেনে নেবো। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ কল্যাণবাবুর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেছেন, ভুললে চলবে যে অভিষেক পদাধিকারী! তিনি যা করছেন সেটা সবার উচিত মেনে নেয়া।
কল্যাণ বাবু জবাবে কুনাল ঘোষের প্রিজন ভ্যানে চাপর মেরে মমতাকে আক্রমণ করার কথা তুলে বলেন, উনি কবে দলে থাকেন, কবে বাইরে যান সেটাই তো পরিষ্কার হয় না। অন্যান্য প্রবীণ নেতারা অভিষেকের বক্তব্যের ব্যাপারে ধরি মাছ না ছুঁই পানি নীতি নিয়েছেন। পিসি-ভাইপোর এই মতের অমিল নিয়ে তৃণমূল এখন সরগরম।