× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গ্যাসের দাম ফের বাড়ানোর তৎপরতা শুরু

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৫ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার

দেশে আবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। এলএনজিতে ভর্তুকি সামাল দিতে জ্বালানি তেলের পর এবার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কথা ভাবছে সরকার। গত ২২শে ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ‘বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি’র বৈঠকে অর্থ বিভাগ থেকে দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়। এরপর পেট্রোবাংলা থেকে নির্দেশনার মাধ্যমে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো এই প্রস্তাব তৈরির কাজ শুরু করেছে। চলতি সপ্তাহেই কোম্পানিগুলো প্রস্তাব জমা দেয়া শুরু করতে পারে বলে সূত্রগুলো জানায়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই সভায় বলা হয়েছিল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের দাম সমন্বয় বা বৃদ্ধি করা না হলে বাজেটে ভর্তুকি ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে। যার পরিমাণ হতে পারে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি’র ২ শতাংশ। ফলে টাকার অঙ্কে ভর্তুকি ব্যয় বাজেটে প্রক্ষেপণের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি পেতে পারে।
তাই সরকারের উচিত ২০২২ সালের শুরুতে এ সবের দাম সমন্বয় করা। অন্ততপক্ষে, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম দ্রুত বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয় সেই সভায়। জ্বালানি বিভাগ জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজি’র দাম বেড়ে যাওয়াতে চলতি বছর সার, বিদ্যুৎ এবং গ্যাসে ৭০ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি প্রয়োজন হবে। কিন্তু বাজেটে মাত্র সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি রাখা হয়েছে। ফলে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকির সংস্থানে দাম বৃদ্ধি ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সূত্র জানান, এরমধ্যে পশ্চিমাঞ্চল ও জালালাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানি দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিলেও তা বিধিসম্মত না হওয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে গ্যাসের দাম কী পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছিল তা নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। পেট্রোবাংলা সূত্রও বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বাড়ছে। গত অক্টোবরের দিকে ভারত প্রায় ৬২ ভাগ গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। আমরা সে তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছি। আন্তর্জাতিক দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের দাম বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে। কোম্পানিগুলো যার যার মতো দামের প্রস্তাব জমা দেবে কমিশনের কাছে। আর বিষয়টি দেখবে বিইআরসি।
এর আগে গত ৩রা নভেম্বর জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে সরকার। লিটারপ্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়। গ্যাসের দামের পর গ্যাসনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন খরচও বাড়বে। সে হিসাবে আগামীতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবও দিতে পারে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১লা জুলাই গ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বাসাবাড়িতে দুই চুলার খরচ ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৭৫ টাকা আর এক চুলার খরচ ৭৫০ টাকা থেকে ৯২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এছাড়া সিএনজি গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি ঘনমিটার ৪৩ টাকা এবং বিদ্যুৎ ও সারের জন্য ৪ দশমিক ৪৫ টাকা। হোটেল রেস্তোরাঁয় প্রতি ঘন মিটার ২৩ টাকা, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৩ দশমিক ৮৫ টাকা, শিল্প ও চা বাগানে ১০ দশমিক ৭০ টাকা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ১৭ দশমিক শূন্য ৪ টাকা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর