ইউক্রেনে বড় আগ্রাসন চালানোর প্রেক্ষিত সৃষ্টির জন্য প্রস্তুত রাশিয়া। সেখানে একটি ‘ফলস ফ্লাগ অপারেশন’ পরিচালনার জন্য এরই মধ্যে তারা অবস্থান নিয়েছে। এসব সতর্কতা দিয়েছেন ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা। এতে কিয়েভের উদ্বেগের প্রতিধ্বনি শোনা গেছে। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দারা শুক্রবার বলেছেন, কিয়েভের ওপর দায় চাপানোর জন্য মলদোভিয়া থেকে বেরিয়ে যাওয়া ট্রান্সনিস্ত্রিয়া অঞ্চলে রাশিয়ান সার্ভিসম্যানদের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে রাশিয়ারই বিশেষ সার্ভিসের লোকজন।
একই রকম উদ্বেগ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও। শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ার মদতপুষ্টরা এরই মধ্যে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়ার প্রতারণা শুরু করেছে। এর মধ্য দিয়ে ইউক্রেনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের যথার্থতা দিচ্ছে এবং ইউক্রেনকে বিভক্ত করার বীজ বপন করছে।
এরই মধ্যে প্রশিক্ষিত একটি দলকে পাঠিয়েছে রাশিয়া।
তাদের কাজ হচ্ছে ইউক্রেনের পূর্বে রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রক্সি সাবোটাজ সৃষ্টি করা। এ জন্য দায়ী করা হবে কিয়েভকে। এর ওপর ভিত্তি করে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। তবে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে মস্কো। শুক্রবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ বলেছেন এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এরই মধ্যে ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এ নিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়া হলেও তাতে কোনো ফল আসেনি। সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছ থেকে লিখিত গ্যারান্টি দাবি করেছে রাশিয়া। তাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনী পূর্বমুখী তাদের জোটকে আর সম্প্রসারিত করবে না- এমন গ্যারান্টি দিতে হবে। ওয়াশিংটন এমন দাবিকে অসম্ভব বলে জানিয়ে দিয়েছে।