× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে জেগে উঠলো আগ্নেয়গিরি, টোঙ্গাতে সুনামির আঘাত (ভিডিও)

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ১৫, ২০২২, শনিবার, ৫:৪৯ অপরাহ্ন

সমুদ্রের নিচে থাকা একটি আগ্নেয়গিরি জেগে উঠলে সুনামি সৃষ্টি হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাংশে। এই সুনামি আছড়ে পড়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় রাষ্ট্র টোঙ্গাতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া ফুটেজে দেখা গেছে, সমুদ্রের পানি উঠে উপকূলের কাছে থাকা চার্চ ও বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশটির রাজধানী নুকুআলোফায় আগ্নেয়গিরির ছাই এসে পড়ছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। খবরে জানানো হয়েছে, দেশটির কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করেছে। যাতে তারা উচু স্থানে আশ্রয় নিতে পারে সেই আহ্বান জানানো হয়েছে। জেগে ওঠা ওই আগ্নেয়গিরির নাম হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা।
এটি সক্রিয় হয়ে উঠলে একাধিক শকওয়েভ আঘাত হানে টোঙ্গাতে। দেশটির রাজধানী ওই আগ্নেয়গিরি থেকে মাত্র ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে। অগ্নুৎপাত শুরু হলে আকাশে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছাই ও ধোঁয়া উঠে যায়। ৮ মিনিট ধরে ভয়াবহ উদ্গিরণ চলে। এতে বিকট শব্দ হয় সেখানে। এই শব্দ ৮০০ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা গেছে। আতঙ্কে ২৩০০ কিলোমিটার দূরে থাকা নিউজিল্যান্ডেও ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
আবুল কাসেম
১৫ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার, ৬:১০

যার সৃষ্টি আছে তার ধ্বংসও অনিবার্য। আল্লাহ তায়ালা একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেছেন। কেয়ামত বা মহাপ্রলয় ঘটিয়ে একদিন তিনি তা ধ্বংস করে দেবেন। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা কেয়ামত সংগঠিত হবে কিভাবে তা বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। এখানে শুধু প্রতিবেদনের সাথে সম্পর্কিত দুটি সূরা থেকে দুটি আয়াত এবং ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে। প্রথম আয়াতঃ "যখন সমুদ্রগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হবে।" সূরা তাকভীর। আয়াত-৬। এখানে سُجِّرَتۡۙ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এর মূল হচ্ছে তাসজীর ( سُجِّرَتۡۙ ) এবং তা থেকে অতীতকালে কর্মবাচ্য এ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। সাধারণত চুল্লীতে আগুন জ্বালাবার জন্য ‘তাসজীর’ শব্দ ব্যবহার করা হয়। কিয়ামতের দিন সমুদ্রে আগুন লেগে যাবে, একথাটা আপাত দৃষ্টে বিস্ময়কর মনে হয়। কিন্তু পানির মূল তত্ত্ব ও উপাদান সম্পর্কে ধারণা থাকলে এর মধ্যে কোন কিছুই বিস্ময়কর মনে হবে না। আল্লাহ‌ তাঁর অসীম ক্ষমতা ও অলৌকিক কার্যক্রমের সাহায্যে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের মত এমন দু’টি গ্যাসকে একসাথে মিশ্রিত করে রেখেছেন যাদের একটি আগুন জ্বালায় এবং অন্যটি নিজে জ্বলে। এই দু’টি গ্যাসের সংমিশ্রণে পানির মতো এমন একটি বস্তু সৃষ্টি করেছেন যা আগুন নিভিয়ে দেয়। আল্লাহর অসীম ক্ষমতার একটি ইঙ্গিতই পানির এই মিশ্রণ পরিবর্তন করে দেবার জন্য যথেষ্ট। তখন তারা পরস্পর থেকে আলাদা হয়ে তাদের মূল প্রকৃতি অনুযায়ী জ্বালাবার ও জ্বলার কাজে ব্যাপৃত হবে। দ্বিতীয় আয়াতঃ "যখন সমুদ্র ফাটিয়ে ফেলা হবে" সূরা ইনফিতার। আয়াত-৩। সূরা তাকভীরে বলা হয়েছে, সমুদ্রগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হবে এবং এখানে বলা হয়েছে, সমুদ্রগুলোকে ফাটিয়ে ফেলা হবে। এই উভয় আয়াতকে মিলিয়ে দেখলে এবং কুরআনের দৃষ্টিতে কিয়ামতের দিন এমন একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প হবে যা কোন একটি বিশেষ এলাকায় সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং একই সময় সারা দুনিয়াকে প্রচণ্ডভাবে আলোড়িত করে দেবে, এ বিষয়টিকেও সামনে রাখলে সমুদ্রগুলোর ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়ার ও তার মধ্যে আগুন লেগে যাবার প্রকৃত অবস্থাটি আমরা অনুধাবন করতে পারি। আমরা বুঝতে পারি, প্রথমে ঐ মহাভূকম্পনের ফলে সমুদ্রের তলদেশ ফেটে যাবে এবং সমুদ্রের পানি ভূগর্ভের অভ্যন্তরভাগে নেমে যেতে থাকবে যেখানে সর্বক্ষণ প্রচণ্ড গরম লাভা টগবগ করে ফুটছে। এই গরম লাভার সাথে সংযুক্ত হবার পানি তার প্রাথমিক অবস্থায় অর্থাৎ প্রাথমিক দু’টি মৌলিক উপাদান অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনে পরিণত হবে। এর মধ্যে অক্সিজেন আগুন জ্বালানোয় সাহায্য করে এবং হাইড্রোজেন নিজে জ্বলে উঠে। এভাবে প্রাথমিক মৌলিক উপাদানে পরিণত হওয়া ও আগুন লেগে যাওয়ার একটি ধারাবাহিক প্রতিক্রিয়া ( chain reaction ) চলতে থাকবে। এভাবে দুনিয়ার সবগুলো সাগরে আগুন লেগে যাবে। এটা আমাদের তাত্ত্বিক পর্যালোচনা ভিত্তিক অনুমান। তবে এর সঠিক জ্ঞান আল্লাহ‌ ছাড়া আর কারোর নেই।(সংগৃহীতঃতাফহীমুল কুরআন)।

অন্যান্য খবর