প্রথম দিনের শেষ সেশনে হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। হোবার্টে ডে-নাইট টেস্টের দ্বিতীয় দিনে হলো ‘উইকেট বৃষ্টি’। এক দিনেই ১৭ উইকেটের পতন! অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্টে তাই বোলারদের দাপট।
২৪১/৬ নিয়ে দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়াকে বেশিদূর এগোতে দেয়নি ইংল্যান্ড। তবে স্বাগতিকদের ৩০৩ রানে থামিয়ে নিজেরাও পড়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে। ইংলিশদের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১৮৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটাও নড়বড়ে। ৩৭ রান তুলতেই নেই ৩ উইকেট।
তবে ইংল্যান্ডের চেয়ে ১৫২ রানে এগিয়ে থাকাটা নিঃসন্দেহে মানসিক স্বস্তি দেবে স্বাগতিকদের।
বৃষ্টির বাগড়ায় প্রথম দিনে খেলা মাঠে গড়ায় ৫৯.৩ ওভার। দ্বিতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস টেকে ১৬.১ ওভার। বাকি ৪ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৬২ রান যোগ করে তারা। এর মধ্যে ১০ নম্বর ব্যাটার নাথান লায়নেরই অবদান ৩১ রান। দিনের শুরুতেই আঘাত হানেন মার্ক উড। ৬ রানের ব্যবধানে তিনি তুলে নেন মিচেল স্টার্ক (৩) ও অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে (২)। প্রথম দিন ১০ রানে অপরাজিত থাকা অ্যালেক্স ক্যারি ২৪ রানে বোল্ড হন ক্রিস ওকসের বলে। অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ তখন ২৮০/৯। এরপর লায়নের কল্যাণে তিনশ’ পেরোয় দলীয় সংগ্রহ। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার স্টুয়ার্ট ব্রড ও মার্ক উডের। অলি রবিনসন ও ক্রিস ওকস নেন দুটি করে উইকেট।
ব্যাটিংয়ে বরাবরের মতোই বাজে হয়েছে ইংল্যান্ডের শুরুটা। দ্বিতীয় ওভারেই রান আউটে কাটা পড়েন হাসিব হামিদের জায়গা ওপেন করতে নামা ররি বানর্স (০)। আরেক ওপেনার জ্যাক ক্রলি করেন ১৮ রান। ডেভিড মালান ২৫ এবং অধিনায়ক জো রুটের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। আগের ম্যাচের দুই ইনিংসেই ফিফটি হাঁকানো বেন স্টোকস এবার মাত্র ৪ রানেই ফেরেন সাজঘরে। অভিষিক্ত স্যাম বিলিংস করেন ২৯ রান। ক্রিস ওকসের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৩৬। বল হাতে আগুন ঝরান পেসার কামিন্স। ১৩.৪ ওভারে ৪৫ রানে তার শিকার ৩ উইকেট। মিচেল স্টার্ক আরো একবার নিজ সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন। ৩ উইকেট নিয়ে নির্বাচকদের বুঝিয়েছেন কেন বিশ্রামে থাকতে চাননি এই টেস্টে। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন স্কট বোল্যান্ড ও ক্যামেরন গ্রিন।
ইংল্যান্ড ১৮৮ রানে গুটিয়ে যাওয়ায় প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার লিড দাঁড়ায় ১১৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ৫ রানের ব্যবধানে স্বাগতিকরা হারায় দুই উইকেট। আরো একবার ব্রডের শিকার হয়ে ফেরেন ডেভিড ওয়ার্নার (০)। মারনাস লাবুশেনকে (৫) উইকেটের পেছনে বিলিংসের ক্যাচ বানান ওকস। একইভাবে উসমান খাজাকেও (১১) সাজঘরে ফেরত পাঠান উড। অস্ট্রেলিয়া ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর আরো ২৯ খেলা হয়েছে। স্টিভ স্মিথ ও নাইটওয়াচম্যান বোল্যান্ড এই ২৯ বল থেকে তুলেছেন মাত্র ৪ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: ইংল্যান্ড, ফিল্ডিং
(দ্বিতীয় দিন শেষে)
অস্ট্রেলিয়া: ৩০৩ ও ৩৭/৩ (খাজা ১১, স্মিথ ১১*, বোল্যান্ড ৩*; ব্রড ১/৯)
ইংল্যান্ড: ১ম ইনিংস ১৮৮ (রুট ৩৪, বিলিংস ২৯, ওকস ৩৬; কামিন্স ৪/৪৫, স্টার্ক ৩/৫৩)