× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সেতুর অভাবে দুর্ভোগ

দেশ বিদেশ

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
১৬ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার

‘একটি সেতু করে দেবেন বলে ৫০ বছর ধরে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু বাস্তবায়ন করেননি কেউই। নির্বাচন এলেই তারা প্রতিশ্রুতি দেন এবার সেতু হবে। তবে নির্বাচন শেষে তাদের আর দেখা মেলে না।’ দুঃখ করে কথাগুলো বলছিলেন জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চরপোগলদিঘা গ্রামের বাসিন্দা মো. আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি জানান, কেউ কথা দিয়ে কথা রাখে না। অবহেলা আর কষ্টে কেটে যায় চরবাসীদের জীবন।
সরজমিন পরিদর্শনে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চরপোগলদিঘা গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে ২০০ বছরের পুরনো সুবর্ণখালী নদী। নদীটির একপাশে সরিষাবাড়ী অন্যপাশে কাজিপুর উপজেলা। নদীর দুই পাড়ে লক্ষাধিক মানুষের বসবাস।
তারা প্রতিনিয়ত এই নদী পার হয়ে যাতায়াত করেন। তবে সেতু না থাকায় তাদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আবু বক্করের মতোই ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় আবুল কালাম আজাদ, মামুনুর রশিদ, তারা মিয়া, শহিদুল ইসলামসহ আরও বেশ কয়েকজন। তারা জানান, নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে সরিষাবাড়ী উপজেলাসহ সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ২০-২৫টি গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। সড়কপথে কাজিপুর উপজেলার দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার এবং নৌপথে প্রায় ২৫ কিলোমিটার। শুকনো মৌসুমে নদীতে চর পড়ে যায়। তখন যাতায়াত করা আরও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। একটি সেতুর অভাবে ওই এলাকা একটি বিচ্ছিন্ন জনপদে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন কৃষক বলেন, যাতায়াতের বেহাল অবস্থার কারণে আমরা সময় মতো শহরে ফসল বিক্রি করতে পারি না। যমুনা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা জানান, অনেক সময় খেয়া পারাপারে দেরি হওয়ায় তারা গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস করতে পারেন না। বর্ষার সময় নদী পারাপারে তাদের প্রায়ই ভিজতে হয়। অনেক সময় ভেজা পোশাকেই ক্লাস করতে হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান বলেন, খুব দ্রুতই জায়গাটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জামালপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সায়েদুজ্জামান সাদেক বলেন, যেহেতু জায়গাটি এলজিইডির আওতাভুক্ত তাই সামনে নতুন কোনো সেতুর অনুমোদন পেলে সেতুটির নাম অন্তর্ভুক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর