জমিলা খাতুন। বয়স ৫০ এর কাছাকাছি। ভোট দিতে এসেছেন হাজী ফজলুল হক মডেল হাই স্কুলে। লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে পারবেন কিনা এ নিয়ে শঙ্কিত তিনি। মানবজমিনকে তিনি বলেন, বাটনে টিপ দিলে কি ভোট হবে? আমার পছন্দের প্রার্থী কি ভোট পাবে। ২০ বছর ধরে ভোট দিয়ে আসছি একভাবে। এবার কি এক নতুন সিস্টেম চালু হয়েছে। এসব আগে দেখিনি।
বুঝিও না।
একই শঙ্কা সিকতারা বেগমের। তিনি বলেন, আগে অনেক ভোট দিয়েছি, এমনটা দেখিনি। ৩০ মিনিট ধরে একই স্থানে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু লাইন সামনে যাচ্ছে না। শুনছি মেশিনে ভোট দিতে অনেক সময় লাগে। অনেকে ভোট না দিয়ে চলে গেছে। আমি ভোট দিতে পারবো কিনা জানি না।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ডে মহিলা ভোট কেন্দ্রে এসব কথা বলেন ভোটাররা।
প্রিজাইডিং অফিসার হাসান মোর্তজা মানবজমিনকে বলেন, বয়স্ক ভোটারদের নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। তারা এ বিষয়ে অভ্যস্ত না। তবে আমরা তাদেরকে শিখিয়ে দিচ্ছি। ভোট দিতে সাহায্যও করছি।
যাদের আঙ্গুলের ছাপ মিলছে না তাদেরকে ভ্যাসলিন দিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৩৯৭টি। মোট ৮টি কক্ষে ভোটগ্রহণ চলছে। দেড় ঘণ্টায় ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।