সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ। কিন্তু বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে ও খবর নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রেই সুনসান অবস্থা বিরাজ করছে। মানুষের জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক। ভোট নিয়ে অধিকাংশের ভেতর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি।
সকাল ১১টা পর্যন্ত মির্জাপুর পৌর সদরের ২৬ ও ২৭নং ভোট কেন্দ্রে যথাক্রমে ১৬৬ ও ২০৬টি ভোট কাস্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশিষ্ট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার। কেন্দ্র দুটিতে নারী-পুরুষসহ মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৭১২ জন। অন্যান্য কেন্দ্র গুলোতেও ভোট কাস্টের হার এমনি বলে জানা গেছে।
এদিকে ভোট পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে একাধিক অভিযোগের কথা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির। তিনি বলেন, ১২১টি ভোট কেন্দ্রের প্রত্যেকটি থেকে তাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া ভোট কেন্দ্র থেকে তার এজেন্ট বের করে দেয়া ও কিছু কিছু কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতেই দেয়া হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
জোর করে নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য নৌকা প্রার্থীর এজেন্টরা চাপ সৃষ্টি করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়গুলো রিটার্নিং অফিসারকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন বলে তিনি জানান।
তবে ভোট পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ বলেন, সারা মির্জাপুরের মানুষ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকা প্রতীকে ভোট দিচ্ছেন। আমি বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
টাঙ্গাইল জেলা সিনিয়র রিটার্নিং কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম হলেও নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে তিনি ধারণা করেন। কোন প্রার্থীর কাছ আমার কাছে কোন অভিযোগ করেননি বলে জানান তিনি।
টাঙ্গাইল-৭ আসনে ভোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৫০১ জন ও পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮৭৮ জন। যাদের মধ্যে ৫ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর এই আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব একাব্বর হোসেনের ইন্তেকালের পর আসনটি শূন্য ঘোষিত হয়।