অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে চূর্ণ হয়েছিল ভারতের শিরোপা স্বপ্ন। গতবারের ন্যায় এবারও হট ফেভারিট টিম ইন্ডিয়া। বিশ্বকাপ শুরুর আগ মুহূর্তে এশিয়া কাপ জিতে প্রস্তুতিটাও ভালো সেরেছে ভারত। এবার বিশ্বকাপেও দুর্দান্ত শুরু পেলো জশ ধুলরা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৫ রানে হারায় তারা। দিনের আগের ম্যাচে কানাডা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৪৯ রানে হারায় সংযুক্ত আরব আমিরাত যুব দল।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৬.৫ ওভারে ২৩২ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে ১৮৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। ভারতীয় অধিনায়ক জশ ধুল ৮২ রান করেন।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১১ রানে দুই উইকেট হারায় ভারত।
শুরুর ধাক্কা সামলে ৭১ রানের জুটি গড়েন শেখ রশিদ ও জশ ধুল। রশিদ ৩১ রানে আউট হলে ভাঙে জুটিটি। এরপর ১০০ বলে ৮২ করে আউট হন অধিনায়ক ধুল। দারুণ ইনিংসটিতে ১১টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।
নিশাত সিন্ধু ২৭, কুশাল তাম্বে ৩৫ ও রাজ বাওয়া ১৩ রান করেন। এছাড়া কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর।
দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাথিউ বুস্ট ৯ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৩ উইকে নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শূন্য রানে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ভ্যালেন্টাইন-ব্রেভিস জুটি ৫৮ রানে শুরুর ধাক্কা সামলায়। ভ্যালেন্টাইন ৩৩ বলে ২৫ রান করেন। দলীয় সর্বোচ্চ রান ৬৫ আসে ব্রেভিসের ব্যাট থেকে। অধিনায়ক জর্জ ভ্যান হেরডেনের সংগ্রহ ৩৬ রান।
৪৫.৪ ওভারে ১৮৭ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত পায় ৪৫ রানের জয়। ভারতের পক্ষে ১০ ওভারে ২৮ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নেন ভিকি ওসটওয়াল। ৪ উইকেট শিকার করেন রাজ বাওয়া।
দিনের আরেক ম্যাচে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৪ রান সংগ্রহ করে আরব আমিরাত। আলী নেসার ৫০ বলে ৭৩ রান করেন। ঝড়ো ইনিংসটিতে ৫ চার ও ৪ ছক্কা হাঁকান তিনি। ৭৮ বলে পূণ্য মেহরার সংগ্রহ ৭২ রান। এছাড়া অধিনায়ক আলিসান শারাফু ৩৭ এবং নিলাশ কেসওয়ানি ৩৮ রান করেন।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৬.৪ ওভারে ২৩৫ রান করতে সবকটি উইকেট হারায় কানাডা। দলটির অধিনায়ক মিহির প্যাটেল অল্পের জন্য ছুঁতে পারেননি শতকের কোঠা। ১০৫ বলে ৯৬ রান করেন তিনি। অনুপ চিমা ৪৬ এবং কাইরভ শর্মা ৪৩ রান করেন।