দশমিনা উপজেলার বুড়াগৌরঙ্গ নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে তিনটি ড্রেজার মেশিন আটকে দিয়েছে গ্রামবাসী। দু’দিন আটক থাকার পরে ইউপি চেয়ারম্যানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে আটক ড্রেজার ছাড়িয়ে নিয়েছে মালিকপক্ষ। উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের পাতারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, দশমিনার রণগোপালদী ইউনিয়নের পাতারচর এলাকার বুড়াগৌরঙ্গ নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করে আসছিল একটি প্রভাবশালী মহল। স্থানীয় গ্রামবাসী ড্রেজার মালিকপক্ষকে নিষেধ করেন। ড্রেজার মালিক কর্তৃপক্ষ তাদের নিষেধ উপেক্ষা করে নদী বালু উত্তোলন চালিয়ে গেলে গ্রামবাসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে নিয়ে ৩টি ড্রেজার আটক করে। আটকের ২ দিন পর ড্রেজার মালিকপক্ষ চেয়ারম্যানের সঙ্গে সমঝোতা করে গতকাল আটক ড্রেজার ছাড়িয়ে নিয়ে পুনরায় নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন কাজ শুরু করেন। এ বিষয়ে রণগোপালদী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির সিকদার জানান, রাইয়ান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান বুড়াগৌরঙ্গ নদীর নির্ধারিত সীমানার বালুমহল ইজারা নিয়ে সীমানা থেকে কয়েকশ’ মাইল দূরে নদী তীরের বালু উত্তোলন করায় গ্রামবাসীকে নিয়ে ৩টি ড্রেজার আটক করা হয়।
ড্রেজার মালিকপক্ষ তাদের ভুল স্বীকার করে নদী থেকে আর অবৈধ বালু উত্তোলন না করার শর্তে আটক ৩টি ড্রেজার ছেড়ে দেয়। ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জানান, আমি জরিমানা আদায় করিনি, ড্রেজার মালিকপক্ষ গ্রামের মসজিদ উন্নয়নে ২০ হাজার টাকা দেয়ার কথা বলেছে।
এ বিষয়ে বালুমহল ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ফিরোজ আলম জানান, ভুলবশত ইজারাকৃত বালুমহলের নির্ধারিত সীমানার বাইরে গিয়ে বালু উত্তোলন করায় ইউপি চেয়ারম্যান ৩টি ড্রেজার আটক করেন। দু’দিন পরে চেয়ারম্যানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে ড্রেজার ছাড়িয়ে নিয়েছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল কাইয়ুম জানান, বালু মহল ইজারায় নির্ধারিত সীমানা অতিক্রম করে নদী থেকে বালু উত্তোলনের সুযোগ নেই। এ আইন মেনে বালু উত্তোলন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি।