রাজধানীর দারুস সালাম এলাকা থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলো: আব্দুল জলিল ও আব্দুল মান্নান। গতকাল সকালে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর ও ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইল চুরির সন্দেহে রুবেল মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি’র উত্তর বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, গত ৫ই জানুয়ারি সকালে ভিকটিম রুবেল মিয়া লালমনিরহাট সদর এলাকা হতে নিখোঁজ হয়। ১৩ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় দারুস সালাম থানার সরকারি বাংলা কলেজের নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের ৫ম তলার ৮১৬ নম্বর কক্ষ থেকে রুবেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের চাচা দারুস সালাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, মামলাটি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল জলিল ও আব্দুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল জলিল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে, গত ৯ই জানুয়ারি বিকালে ভিকটিমকে সরকারি বাংলা কলেজের নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে সন্দেহজনকভাবে চোর ভেবে আটক করে। গ্রেপ্তারকৃতদের ইতিপূর্বে চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইল ও টাকা উদ্ধারের জন্য ভিকটিমের হাত রশি দিয়ে বেঁধে দেয় এবং একই রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। এতে রুবেল মারা যান। পরে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যান। তিনি আরও জানান, পুলিশ স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিমের লাশ উদ্ধারের পর তদন্ত করতে মাঠে নামে। এরই প্রেক্ষিতে তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভিকটিম রুবেল কী করতেন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, রুবেলের মানসিক সমস্যা ছিল। তিনি কিছু করতেন না।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র ডিসি ডিবি (মিরপুর) মানস কুমার পোদ্দার, ডিএমপি’র জনসংযোগ বিভাগের ডিসি ফারুক হোসেন, ডিবি এডিসি (মিরপুর) সাইফুল ইসলাম সাইফ ও মো. সৌকত প্রমুখ।