সকাল থেকে দাঁড়িয়ে ভোট দেয়ার জন্য। দুপুর গড়িয়ে গেলেও লাইন এগুচ্ছে না। এ অবস্থায় ক্ষোভ নিয়ে ভোট না দিয়েই বাড়ি ফিরে গেছেন বহু ভোটার। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্ধারিত সময়ের পর ভোট দিয়েছেন অন্তত চারটি কেন্দ্রের ভোটাররা। রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হয়ে একটানা চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। কিন্তু নগরীর সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর এলাকার এসব ভোটকেন্দ্রের লাইন ছিল দীর্ঘ। ফলে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের ভোট নেয়া হয়। এই কেন্দ্রগুলো হলো- ৬২ নম্বর কবি নজরুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ কেন্দ্র, ৪৬ নম্বর কদম শরীফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৯ নম্বর শান্তিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের সময় শেষ হওয়ার পরও যারা লাইনে থাকবেন তারা ভোট দিতে পারবেন। তাই তারা ভোট দিয়েছেন। এর আগে সকালে ভোট শুরুর পর থেকেই ভোটাররা অভিযোগ করেছেন, ইভিএমে ভোটগ্রহণের কারণে অনেক বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের আঙুলের ছাপ মিলছিল না, অনেকে আবার কীভাবে ভোট দিতে হবে বুঝতে পারছিলেন না। সব মিলিয়ে অনেক সময় লেগে যাচ্ছিল। একদিকে ভোটারের লম্বা লাইন, অন্যদিকে ধীরগতিতে ইভিএমে ভোট নিয়ে চাপের মধ্যে ছিলেন ভোট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে ঢাকায় নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, নারায়ণগঞ্জে মকভোটিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু নারী ভোটাররা সেখানে আসেননি। যার ফলে ভোটারকে ভোট দেয়া সম্পর্কে লাইনে দাঁড়িয়ে বুঝিয়ে দিতে হয়েছে। ওইখানে হয়তো একটু সময় লেগেছে। তবে যারাই এসেছে সবার ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।