নোয়াখালী পৌরসভার ৩৪টি কেন্দ্রের ভোট গননা শেষে মেয়র পদে ২৬ হাজার ৪০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. সহিদ উল্যাহ্ খান সোহেল। মেয়র হিসেবে এটি তার দ্বিতীয় জয়।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম। সারাদিন ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্যদিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয় পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ভোট গ্রহণ। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিজয়ী মিছিল থেকে বিরত ছিলো জয়ী প্রার্থীর সমর্থকরা। নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম বলেন, কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩৪টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেসরকারি ভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীক নিয়ে ২৬ হাজার ৪০৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মো. সহিদ উল্যাহ্ খান সোহেল। এদিকে সোহেলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম কিরণ কম্পিউটার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৬২৮ ভোট। মোবাইল প্রতীক নিয়ে লুৎফুল হায়দার লেলিন পেয়েছেন ২২৪৪ ভোট। নির্বাচনে মেয়র পদে অন্য প্রার্থীরা হচ্ছেন, বিএনপি সমর্থক স্বতন্ত্র আবু নাছের ও সহিদুল ইসলাম কিরন, ইসলামী আন্দোলনের সহিদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র কাজী আনোয়ার হোসেন, শামছুল ইসলাম মজনু, লুৎফুল হায়দার লেলিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হিসেবে ১,২,৩ ওয়ার্ডে বলপেন মার্কায় মোহনা সানজিদা (রিয়া); ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডে চশমা মার্কায় মমতাজ বেগম এবং ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে জবা ফুল মার্কায় হাসিনা আক্তার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। অপর দিকে ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৩ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১নং রফিকুল বারী আলমগীর, ২নং ওহিদ উল্যাহ পলাশ, ৩নং মো. সেলিম, ৪নং আবুল খায়ের সোহাগ, ৫নং রতন কৃষ্ণ পাল, ৬নং জাহেদুর রহমান শামীম, ৭নং বদরুল হাসান বাবলু, ৮নং নাসিম উদ্দিন সুনাম ও ৯নং ওয়ার্ডে ফখরুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। মোট ভোট গ্রহণ হয়েছে ৩৯ হাজার ৮২২ ও বাতিল হয়েছে ৬৯ ভোট।