× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাশিয়ার আক্রমণ থেকে বাঁচতে ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাচ্ছে বৃটেন

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ১৮, ২০২২, মঙ্গলবার, ৫:১৯ অপরাহ্ন

রাশিয়ার সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে বাঁচাতে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে বৃটেন। ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো রাশিয়ার এমন আচরণকে যুদ্ধের উস্কানি হিসাবে দেখছে। এ অবস্থায় ইউক্রেনকে রাশিয়ার হামলা থেকে রক্ষা করতে দেশটিকে স্বল্প পাল্লার এন্টি-ট্যাংক মিসাইল সরবরাহ করছে বৃটেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
বৃটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস নিজেই এমপিদের কাছে এই অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, ইউক্রেনের সেনাদের প্রশিক্ষণ দিতে বৃটিশ সেনাদের পাঠানো হবে সেখানে। রাশিয়া যেভাবে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে তাতে উদ্বেগের সত্যিকারের কারণ রয়েছে।
যদিও রাশিয়া প্রথম থেকেই কোনো ধরণের আক্রমণের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করে আসছে।
২০১৫ সাল থেকেই কয়েক ডজন বৃটিশ সেনা ইউক্রেনে রয়েছে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করে রাশিয়া। এর আগে এটি ইউক্রেনের অংশ ছিল। বৃটেন তখন থেকেই ইউক্রেনের নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে। ওয়ালেস বলছেন, রাশিয়া এখন নতুন করে যেভাবে প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উস্কানি দিচ্ছে তাতে বৃটেন ইউক্রেনকে দেয়া সামরিক সহায়তা আরও বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে।  
সোমবারই এই যুদ্ধাস্ত্রের প্রথম ব্যাচ ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে। তবে কী ধরণের এন্টি-ট্যাংক মিসাইল পাঠানো হয়েছে তা স্পষ্ট করেননি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, নিজেদের সীমান্ত রক্ষার অধিকার রয়েছে ইউক্রেনের। বৃটেনের এই সহায়তা ইউক্রেনকে তার নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাহায্য করবে। তবে তিনি নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে আরও বলেন যে, এসব অস্ত্র রাশিয়ায় আক্রমণের জন্য না। এগুলো স্বল্প পাল্লার এবং প্রতিরোধ করার জন্য তৈরি। এগুলো কৌশলগত অস্ত্র নয় যে রাশিয়ায় আক্রমণ করা যাবে।
রাশিয়ার উদ্দেশ্যে বৃটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এ ধরণের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাখলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। যে কোনো আক্রমণ উভয় পক্ষের অজস্র মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে। আমরা রাশিয়ার মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। শত শত বছর ধরে এই বন্ধুত্ব ছিল। আমরা এখনো বিশ্বাস করি, রাশিয়ার সঙ্গে পরস্পরের স্বার্থ রক্ষা করে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। আমাদের এই কূটনৈতিক চেষ্টা সফল হবে বলেই বিশ্বাস করি আমি। তবে এটি এখন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইচ্ছা যে, তিনি কী বেছে নেবেন। আলোচনা ও যুদ্ধ উভয় রাস্তাই খোলা আছে।
এদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধাস্ত্র ও সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বৃটেনে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত। তবে ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্র না হওয়ায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিবিসিকে তিনি বলেন, আমরা ন্যাটোর সদস্য হতে চেয়েছিলাম। আমরা ইউরোপের সবথেকে বড় সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হতে যাচ্ছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর