আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত থেকে সৃষ্ট ধোঁয়া ও ছাইয়ে ঢেকে আছে টোঙ্গা। ছাইয়ের কারণে রানওয়েতে বিমান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দুর্যোগের পর সেখানে ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খাচ্ছে সাহায্যকারী দেশগুলো। ক্রমশ অগ্নুৎপাতের কারণে দেশটির ভয়াবহ পরিস্থিতি স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। নিউজিল্যান্ড টোঙ্গাতে খাবার পানিসহ অন্যান্য সাহায্য পাঠানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু টোঙ্গার প্রধান বিমানবন্দর ছাইয়ে ঢেকে থাকায় সেখানে বিমান অবতরণ সম্ভব হচ্ছে না। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
এদিকে বিভিন্ন ত্রাণ প্রদানকারী সংস্থা জানিয়েছে, টোঙ্গার বেশ কয়েকটি দ্বীপ সুনামি ও অগ্নুৎপাতে ভয়াবহ ক্ষতির শিকার হয়েছে। এখন পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
তবে এখনো দেশটিতে যোগাযোগের অবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। ফলে মৃতের খবর আরও আসতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে।
এর আগে গত শনিবার প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠে। এতে একটি সুনামির সৃষ্টি হয়, যা প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ টোঙ্গাকে আঘাত হানে। এ ছাড়া আগ্নেয়গিরি থেকে ছাই ও গ্যাস বেরুতে শুরু করে যা এক পর্যায়ে সমগ্র দেশটিকেই ঢেকে দেয়। স্যাটেলাইট থেকে ওই ছাই ও গ্যাসের ছড়িয়ে পড়ার চিত্র ধারণ করা হয়। জানা গেছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল ছাইয়ের ওই মেঘ।
টোঙ্গা প্রায় ১৭০টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি দেশ। এর জনসংখ্যা মাত্র এক লাখ। দেশটির প্রধান দ্বীপ টোঙ্গাটাপুতেই মূলত তাদের বেশির ভাগ মানুষ থাকেন।