সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়া, বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর পেছনে উন্নয়ন সহযোগীদের অবদান অনেক। বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে কারিতাসসহ উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে আগামীতে এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাই। গতকাল বুধবার দুপুরে খাদিমনগরস্থ কারিতাস বাংলাদেশ-এর সিলেট আঞ্চলিক কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা ও কারিতাস পতাকা উত্তোলন, জুবিলীর বেলুন ও কবুতর উড়ানো, জুবিলীর বৃক্ষরোপণ, সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ৫০টি প্রদীপ প্রজ্বালন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সিলেট ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ আশফাক আহমদ, সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার, খাদিমপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট আফছর আহমদ, কারিতাস বাংলাদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মি. সেবাস্টিয়ান রোজারিও, কারিতাস ঢাকা অঞ্চল’র আঞ্চলিক পরিচালক মি. জ্যোতি গমেজ, কারিতাস সিলেট অঞ্চল’র মি. আঞ্চলিক পরিচালক, বনিফাস খংলা, সাবেক আঞ্চলিক পরিচালক মি. জন মন্টু পালমা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কারিতাস বাংলাদেশ সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মি. বনিফাস খংলা। অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিতগণ ও কারিতাস বাংলাদেশ-এর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি দেবজিৎ সিংহ তার বক্তব্যে আরও বলেন- অনেক ত্যাগ, সংগ্রামের মধ্যদিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের জন্ম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশের সর্বস্তরের জনতা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জন্ম নেয়া স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের উন্নয়ন- এই চেতনায় বিশ্বাসীদের দ্বারাই সম্ভব, অন্য কেউ তা চাইবে না। নিজ নিজ দায়বোধ থেকে যে বা যারা রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন সেসব ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার জন্য শুভ কামনা রইলো।