× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চিত্রনায়িকা শিমু হত্যাকারীদের ফাঁসি চাইলেন তার বাবা নুরুল ইসলাম রাঢ়ী

বাংলারজমিন

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
২০ জানুয়ারি ২০২২, বৃহস্পতিবার

 ঢাকায় খুন হওয়া আলোচিত চিত্র নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বাবা মো. নুরুল ইসলাম রাঢ়ী মুঠোফোনে বিলাপ করছিলেন আর বলছিলেন, আমার আদরের মেয়ে শিমুকে যারা হত্যা করেছে তাদের আমি ফাঁসি চাই। আমতলীর মেয়ে রাইমা ইসলাম শিমুর হত্যার খবর আমতলীতে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। রাইমা ইসলাম শিমুর গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে। তার নানাবাড়ী একই উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামে। শিমুর বাবা মো. নুরুল ইসলাম রাঢ়ী গ্রামের বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী, দুই ছেলে হারুন অর রশিদ, সাইদুল ইসলাম খোকন, শিমু ও ছোট মেয়ে ফাতেমাকে নিয়ে ১৯৯৫ সালে আমতলী শহরে ফেরিঘাটের সবুজবাগ এলাকায় বসবাস করতেন। শিমু তখন স্কুলছাত্রী। ছোটবেলা থেকেই শিমুর নাচ-গানের প্রতি ঝোঁক ছিল। আমতলীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া শিমুর নাচ-গানের প্রশংসা ছিল তখন মানুষের মুখে মুখে।
আলোচিত চিত্র নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর লাশ উদ্ধার এবং পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আমতলী শহরের অলি-গলিতে চলছে শোকের মাতম ও আলোচনা।
সবার একই প্রশ্ন কেন এমন একটি মেয়েকে মেরে ফেলেছে খুনিরা। স্থানীয় মুদি দোকান থেকে শুরু করে পান দোকান পর্যন্ত সবারই এককথা আর আফসোস। কেন আমাগো এলাকার এই নায়িকাডারে খুনিরা মারছে। ১৯৯৬ সালে পারিবারিক কারণে শিমুর মা রাশেদা বেগম চার ছেলেমেয়ে নিয়ে ঢাকায় চলে যান। সেখানে বসবাসের সময় পরিচয় হয় চিত্র পরিচালক কাজী হায়াতের সঙ্গে। ১৯৯৮ সালে চিত্রজগতে প্রবেশের পর আমতলীর ছোট শহরের মেয়ে শিমুর নাম রূপালী পর্দার বদৌলতে হয়ে যায় রাইমা ইসলাম শিমু। একের পর এক বিভিন্ন সিনেমায় অভিনয়ের পর শিমুর নাম ছড়িয়ে পড়ে আমতলীসহ সারা দেশে।
শিমুর মা এবং তাদের পরিবার ঢাকা চলে গেলেও পারিবারিক কারণে শিমুর বাবা মো. নুরুল ইসলাম রাঢ়ী আমতলীর জমি বিক্রি করে চলে যান নিজ গ্রাম উত্তর তক্তাবুনিয়ার বাড়িতে। পরবর্তীতে ওই বাড়ি ছেড়েও বর্তমানে বসবাস করছেন হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া গ্রামে। একবার তিনি হলদিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সোমবার রাত ১০ টায় ছেলেদের ফোন এবং টেলিভিশনের খবরের মাধ্যমে জানতে পারেন তার মেয়ে শিমু খুন হয়েছে। ওই রাতে আমতলী থেকে ঢাকা যাওয়ার কোন বাহন না থাকায় মঙ্গলবার খুব সকালে শিমুর বাবা মো. নুরুল ইসলাম রাঢ়ী রওনা দেন ঢাকার উদ্দেশ্যে। বিকাল সোয়া ৫টার সময় মোবাইল ফোনে কথা হয় তার সঙ্গে। এ সময় তিনি মাওয়া ঘাটে অবস্থান করছেন বলে জানিয়ে হাঁউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরপর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন- আমার মাইয়াডারে অনেক আদর-স্নেহ দিয়া বড় করছি, হেই মাইয়াডারে ওরা মাইর‌্যা হালাইছে। আমি আর কিছু চাই না শুধু আমার মাইয়ার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর