× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে জামানত হারালেন ৫ মেয়র প্রার্থী

বাংলারজমিন

নাসির উদ্দিন বাদল, নোয়াখালী থেকে
২০ জানুয়ারি ২০২২, বৃহস্পতিবার

 নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন নৌকার প্রার্থীর কাছে জামানত হারিয়েছেন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সহিদ উল্যাহ খান সোহেল বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নোয়াখালী জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. রবিউল আলম গতকাল সন্ধ্যায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে রোববার রাতে ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে মো. সহিদ উল্যাহ খান (নৌকা) ২৬ হাজার ৪০৮ ভোট, মো. শহিদুল ইসলাম কিরণ (কম্পিউটার) ৮ হাজার ৬২৮ ভোট, লুৎফুল হায়দার লেলিন (মোবাইল ফোন) ২ হাজার ২৪৪ ভোট, আবু নাছের (নারিকেল গাছ) ১ হাজার ১১৭ ভোট, কাজী আনোয়ার (জগ) ২২৭ ভোট, শহীদুল ইসলাম (হাতপাখা) ৯৫০ ভোট, সামছুল ইসলাম মজনু (নাঙ্গল) ১৭৯ ভোট পেয়েছেন। মেয়র পদের ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে নৌকা প্রতীকের সহিদ উল্যাহ খান সোহেল এবং কম্পিউটার প্রতীকের শহিদুল ইসলাম কিরণ সব কেন্দ্রে মোট কাস্ট হওয়া ভোটের আট শতাংশের এক শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনী আইন মোতাবেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কম্পিউটার প্রতীকের শহিদুল ইসলাম কিরণ ছাড়া বাকি পরাজিত ৫ প্রার্থী লুৎফুল হায়দার লেলিন, আবু নাছের, কাজী আনোয়ার, শহীদুল ইসলাম ও সামছুল ইসলাম মজনুর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন। জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া ৫ প্রার্থীর মধ্যে মোবাইল প্রতীকের প্রার্থী লুৎফুর হায়দার লেলিন বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দারের ছোট ভাই। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হওয়ার পর নির্বাচনে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন।
নির্বাচনের আগে গত ১০ই জানুয়ারি রাতে নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বরিশাল জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রচারণায় অংশ নেয়ার অভিযোগ ওঠে। নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের কালেক্টরেট সহকারী সমিতির কার্যালয়ের সদস্যদের নিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী লুৎফুল হায়দার লেনিনের পক্ষে ভোট চেয়ে সভা করেন তারা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে জেলা প্রশাসন থেকে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম জানান, আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে হারাতে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর আস্থাভাজন হয়ে নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে বিদ্রোহী ভোট করেছেন লেলিন। কিন্তু জনগণ নৌকার প্রতি আস্থা রেখে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করেছেন। এতে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসেনি বরং নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে জামানত হারাতে হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর