উত্তরাধিকারদের পাশ কাটিয়ে ফরিদপুরে জমিদার ঈশান চন্দ্র দাস সরকারের সম্পত্তি দখল ও হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলে সে সম্পত্তিতে স্থিতাবস্থাও জারি করেছেন আদালত। এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি পর্যন্ত ঈশান চন্দ্র দাস সরকারের সম্পত্তিতে স্থিতাবস্থা জারি করা হয়েছে।
গতকাল বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। দুদুকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। পরে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত রুল জারি ও নির্দেশনার পাশাপাশি ঈশান চন্দ্র দাস সরকারের সম্পত্তিতে স্থিতাবস্থা জারি করেছেন।
রুল নিষ্পত্তি পর্যন্ত এসব সম্পত্তিতে কেউ হাত দিতে পারবেন না। যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায়ই থাকবে।
আগামী ১৯শে এপ্রিল এ মামলার পরবর্তী তারিখ রাখা হয়েছে।
ঈশান চন্দ্র দাস সরকারের সম্পত্তি দখল ও হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে দুদকের আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবেদন করেছিলেন ফরিদপুরের গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম মজনু। সেখান থেকে এ বিষয়ে সাড়া না পাওয়ায় পরে সংস্থাটির নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। সে আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রুলসহ এ আদেশ দেন।
ফরিদপুরে জমিদার ঈশান চন্দ্র দাস সরকারের অর্পিত সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদককে কেনো নির্দেশ দেয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।