নারায়ণগঞ্জ জেলার গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আলহাজ মো. কাশেমের বড় ছেলে মো. তাজুল ইসলাম রাজীব। কলেজ জীবন থেকেই বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। করোনা সংক্রমণের প্রথম দিকে কাজ শুরু করেন বায়োফ্লক নিয়ে। আজ তিনি সফল উদ্যোক্তা। জানা গেছে, ২০১৯ সালে করোনা প্রাদুর্ভাবে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় দেশের সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান। এতে বেকার হয়ে পড়েন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকলে। রাজীবও তাদের মধ্যে একজন। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন বই ও ইন্টারনেট ঘাঁটা শুরু করেন।
তার মাথায় আসে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ। এরই মাঝে দেশের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে থাকলে লকডাউন উঠে যায়। তখন আগের মতো নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সময় দেয়ার পাশাপাশি বাড়ি ফিরে বায়োফ্লক নিয়ে কাজ করতে থাকেন। কিছু ছেলেকে নিয়ে তৈরি করেন আজাদ ফিশারিজ নামে নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যার ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ পায় অনেক বেকার তরুণ। রাজীবের প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত যুবকদের তিনি নিজ অর্থায়নে জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজ শুরু করেন পুরো উদ্যমে। নিজের বাড়ির পরিত্যক্ত স্থানকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করেন দেশি-বিদেশি মাছের খামার। যেখানে রয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার লিটার পানি ধারণক্ষমতার ছোট-বড় মোট আটটি চৌবাচ্চা। এখন শুধু নিজ জেলাতে নয়, সারা দেশে তিনি সরবরাহ করছেন দেশি-বিদেশি হরেক রকমের মাছ। মো. তাজুল ইসলাম রাজীব বলেন, তার ব্যবহারিক জ্ঞানকে তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান তিনি। কোনো প্রকার অর্থ ছাড়াই বায়োফ্লক বিষয়ে তিনি অন্যদেরকে প্রশিক্ষণ দেন। তিনি বলেন, কোনো ব্যবসা ছোট নয়। ইচ্ছাশক্তি আর পরিশ্রমের সংমিশ্রণে যেকোনো ব্যবসাতেই সফল হওয়া সম্ভব।