মিনোক্সিডিল টপিক্যাল হচ্ছে প্রথম ও একমাত্র USFDA কর্তৃক স্বীকৃত টপিক্যাল সলিউশন যা পুরুষ ও মহিলাদের পুনরায় চুল গজানোর জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা ও গবেষণায় প্রমাণিত ওষুধ। যথাযথ রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসা করতে পারলে এটা বংশগতভাবে চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করে বা অনেকেই এই চিকিৎসার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। বংশগত বা জেনেটিক কারণে চুলপড়া স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে বংশগত বা জেনেটিক কারণে চুল পড়ার ক্ষেত্রে বংশগত, হরমোন এবং বয়স একত্রিতভাবে চুলের ফলিকলগুলোকে সঙ্কুচিত করে ফেলে যা চুলের বৃদ্ধি চুলকে সংক্ষিপ্ত করে ফেলে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেহেতু চুলের সক্রিয় বৃদ্ধি পর্যায় সংক্ষিপ্ত হয়ে আসে এবং রেস্টিং ফেইজ দীর্ঘ হয় সেহেতু চুলের বৃদ্ধি থেমে যায়। গবেষণায় দেখা যায় মিনোক্সিডিল টপিক্যাল সলিউশন পার্শ্বীয়ভাবে চুলের ফলিকগুলোকে বৃদ্ধি করার মাধ্যমে চুলের বৃদ্ধি পর্যায়কে সংক্ষিপ্ত করে। যা চুলকে লম্বা ও ঘন করতে সহায়তা করে। এছাড়া এটি রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়, যা চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
সাধারণত যাদের প্রচুর চুল পড়ছে এবং টাকজনিত সমস্যা রয়েছে মিনোক্সিডিল সঠিক মাত্রায় তাদের জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ইহা ব্যবহারের পূর্বে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো আপনাকে সহায়তা করতে পারে।
** আপনার পরিবারের অথবা বংশের কোনো পুরুষ বা মহিলার চুল পড়া বা টাকা সমস্যা থাকলে।
** গোসলের সময় বালিশে অথবা চিরুনিতে আগের চেয়ে বেশি চুল পড়তে দেখলে।
** চুল পড়ার কারণে ফাঁকা হয়ে যাওয়া অংশ ঢাকতে চুলের স্টাইল পরিবর্তন হলে। যদি উপরে উল্লিখিত দু’বার বা তার বেশি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় তাহলে আপনি বংশগত টাকা সমস্যায় ভুগছেন।
** এটা ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তেমন নেই। তবে কেউ কেউ মাথার তালুতে আলতোভাবে ও চুলকানিজনিত অস্বস্তিবোধ করতে পারেন।
** সাধারণত এই সলিউশনটি ১৮ বছরের নিচে ও ৬৫ বছরের ঊর্র্ধ্বে ব্যবহার করা উচিত নয়।
অতি সহজেই এটা ব্যবহার করা যায়। প্রথমে চিকিৎসক দেখিয়ে দেন। মাথার যে স্থানে চুল পড়ে সেই স্থানে ড্রপার দিয়ে ১মি.লি. করে অথবা ৮-১০টি স্প্রে দিনে ২ বার প্রয়োগ করতে হবে। প্রতিদিন সকালে ও রাতে ২বার মাথায় ত্বকের উপরিভাগে চুলের হারানো অংশে প্রয়োগ করুন। রাতে ঘুমানোর আগে ২-৪ ঘণ্টা আগে ব্যবহার করতে হবে যেমন- এটি সম্পূর্র্ণরূপে শুকিয়ে যায়। তবে ব্যবহারের চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। এর ফল পেতে কমপক্ষে ৪ মাস সময় লাগবে। তবে কিছু লক্ষণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন কাজ করছে কিনা। উদাহরণ স্বরূপ, ব্যবহারের দুই সপ্তাহে ক্ষণস্থায়ীভাবে চুল পড়া কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। এর অর্থ এই যে, চুলের নতুন বৃদ্ধি পর্যায় শুরু হয়েছে এবং পুরনো চুলগুলো নতুন চুলকে জায়গা করে দিচ্ছে। এর কিছুদিনের মধ্যেই আপনি আপনার চিরুনি, বালিশ, তোয়ালে ও গোসলের সময় কম চুল পড়া লক্ষ্য করবেন। তবে, মনে রাখতে হবে এটা ব্যবহারের একই রকম সাফল্য সবাই পায় না। যাদের বংশগত টাক রয়েছে তাদের নতুন চুল গজানোর প্রক্রিয়া হিসেবে নিয়মিত ও রুটিনমাফিক ব্যবহার চালিয়ে যেতে হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শই আদর্শ।
মিনোক্সিডিল ট্রপিক্যাল সলিউশন ব্যবহার করার পর চুল শুকালে আপনি স্প্রে, জেল ও চুলে রঙ করতে পারবেন এছাড়া কোমল ও সাধারণ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারবেন। এমন একটি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যা আপনার চুল পরিষ্কার করবে এবং এমন কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত যেটি হালকা ও চুলকে নিস্তেজ করবে।
শেষকথা: তবে সর্বোত্তম চিকিৎসা হচ্ছে- মিনোক্সিডিল টপিক্যাল সলিউশনে ৫%২% এর সঙ্গে PRP থেরাপি নেয়া।
ডা. এসএম বখতিয়ার কামাল
সহকারী অধ্যাপক
চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
কামাল হেয়ার অ্যান্ড স্কিন সেন্টার, ফার্মগেট, ঢাকা। প্রয়োজনে-০১৭১১৪৪৫৫৮
Ali Hussain
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, বুধবার, ৩:৫৮According to German doctors, any such treatment can cause problems inside the head, but hair transplants can be done, which is very expensive.