রাজশাহী নগরীতে বৃদ্ধ পিতাকে গলাকেটে হত্যা করেছে সন্তান। পরে তার মরদেহ গুম করার জন্য বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতরে লুকিয়ে রাখে সে। গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর দামকুড়া এলাকার আসগ্রাম পাটনিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। গত বুধবার অভিযুক্ত ছেলে মো. স্বপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার পিতার নাম সাজ্জাদ হোসেন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, স্বপন প্রথমে তার বাবাকে ঘুমন্ত অবস্থায় মুখে প্লাস্টিক দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে ব্যর্থ হয়ে চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর রাত ৩টার দিকে বাবার লাশ গোপন করার জন্য বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতরে লুকিয়ে রাখে। পরদিন সে নিজে থানায় এসে তার বাবাকে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে পুলিশকে জানায়।
আরএমপির মুখপাত্র বলেন, ওই সময় স্বপনের কথাবার্তায় পুলিশের সন্দেহ হয়। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জেরার প্রেক্ষিতে স্বপন স্বীকার করে সেই তার বাবাকে গলা কেটে হত্যা করে তার বাড়ির পেছনের সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রেখেছে বলে স্বীকারোক্তি দেয়। গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, হত্যার কারণ জানতে চাইলে স্বপন জানায়, তার মা এক বছর আগে মারা গেছেন। এরপর তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করতে চায়। এতে আপত্তি জানায় স্বপন। আপত্তির কারণ হিসেবে সে বলে, দ্বিতীয় বিয়ে করলে তার বাবার সম্পত্তির ভাগাভাগি হয়ে যেত। তাই সে আপত্তি জানিয়েছিল বিয়েতে। বারণ করার পরও তার বাবা না শোনায় তাকে ঘুমের মধ্যে গভীর রাতে প্রথমে প্লাস্টিক জড়িয়ে পরে চাকু দিয়ে হত্যা করে সে। স্বপনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বুধবার রাত ৩টার দিকে পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে সাজ্জাদের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বাবাকে হত্যার দায়ে স্বপনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।