শুরু হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) ৮ম আসর। স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হয়েছে বিবিএস ক্যাবলস, আর টুর্নামেন্টের পাওয়ার স্পন্সর হিসেবে থাকছে ওয়ালটন। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে বিপিএল পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডর (বিসিবি) পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ। বিবিএস কেবলস প্রতিযোগিতার টাইটেল স্পন্সর, ওয়ালটন পাওয়ার্ড বাই স্পন্সর। কোভিড পরিস্থিতি থাকার পরও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তাদের ধন্যবাদ দিতে চাই।’ এবারের বিপিএলে চার-ছক্কার লড়াইয়ের ফাইনাল ১৮ই ফেব্রুয়ারি। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ১ কোটি টাকা। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট- তিন ভেন্যুতে হবে এবারের বিপিএল।
২৭ দিনে মোট ৩৪ ম্যাচ।
করোনা মহামারীর কারণে বিদেশি আম্পায়ার, ধারাভাষ্যকার আনার বেলায় এবার পিছিয়ে বিপিএল। স্থানীয়দের ওপরই রাখতে হচ্ছে ভরসা। সাধারণ দর্শকরা মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ হারাচ্ছেন। কোভিডের ঊর্ধ্বগতির কারণে আয়োজকরা শুধু আমন্ত্রিত অতিথিদের গ্যালারিতে জায়গা দেবে। এ বছর বিপিএল আয়োজনের পরই আবার দীর্ঘ মেয়াদের জন্য দল খুঁজবে বিসিবি। বিসিবি’র পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকের বিশ্বাস, পরবর্তী আসর থেকে বিপিএল হবে গোছানো, পরিপাটি। সেই অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। করোনার ধাক্কা সামলে বিপিএল মাঠে ফিরলেও থাকছে না অনেক কিছুই। মাঠে গড়ানোর আগে আয়োজকরা সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন ডিআরএস আনতে না পেরে। তবে মল্লিক বলেন, ‘আসলে আমরা করোনার কারণেই এসব করতে পারছি না। এমন নয় যে আমরা চেষ্টা করিনি। আমরা কিন্তু সরকারের নির্দেশের কারণে মাঠে দর্শক রাখতে পারবো না। তবে এসব মাথায় রেখেই চাই আসরটা যেন ভালোভাবে শেষ হয়।’