বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে ফের সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। গত দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যেমন প্রশংসিত হয়েছেন। তেমনি তাকে নিয়ে হয়েছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। দুই বছর শিল্পীদের জন্য কি কি কাজ করলেন? আপনাকে কেন আবার শিল্পীরা ভোট দিবে বলে মনে করছেন? জায়েদ খান বলেন, শেষ দুই বছরে আমি সমিতির গঠনমূলক কাজ করতে পারিনি। কারণ করোনার কারণে সবাই ঘরবন্দি হয়ে পড়েছিল। কিন্তু ট্রাজেডির সময় শিল্পীদের পাশে ছিলাম। করোনার মধ্যে আমি আর মিশা ভাই লাশ কাঁধে নিয়েছি।
যখন সন্তান তার বাবা-মার লাশ ফেলে যাচ্ছে সেই সময়ে সাদেক বাচ্চু ভাইয়ের জানাজার আগে আমি গোসল করিয়েছি।
আমি মৃত্যুকে ভয় করিনি। সবাই যাতে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে পারেন মেডিকেল ক্যাম্প করেছি এফডিসিতে। সহশিল্পীদের বাসায় খাবার পৌঁছে দিয়েছি। ১৮ বার খাদ্যসমাগ্রী দিয়েছি। গরু জবাই করে কোরবানীর মাংস বাসায় পৌঁছে দিয়েছি। কারো কাছে হাত পাততে দেইনি। শিল্পীরা তো এই কারণেই ভোট দিবে। লকডাউনের ভেতর প্রতিদিন সমিতি খুলতাম, অফিস করতাম। সবাইকে ফোন দিয়ে খোঁজ-খবর নিতাম। আমাদের এই কমিটির আমলে চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যান ট্রাস্ট করেছি। ভূমিহীন শিল্পীদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন। এটা কি আদৌ সম্ভব? এই নায়কের উত্তর- গতবার আমাদের ইশতেহারে ১০ টা পয়েন্ট ছিল।
এরমধ্যে এটা ১০ নম্বর। আমরা নয়টা ফুলফিল করতে পেরেছি। এইটা পারিনি করোনার কারণে। তবে সামনে নির্বাচিত হতে পারলে আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে বাসস্থানের ব্যবস্থা করার। আসলে এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কারো পক্ষে এটা করা সম্ভব না। ইতোমধ্যে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছি। তথ্যমন্ত্রীর সাহায্য নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব রাখবো এ ব্যাপারে। আশা রাখছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের আবদারের কথা শুনলে ফেলতে পারবেন না। আপনাকে নিয়ে অনেক বিতর্ক। কেন? জায়েদ খান বলেন, কোনো বিতর্কিত কাজ করিনি এখন অবধি। কেউ কোনো প্রমাণ দিতে পারেব না। সংগঠনের কাজ ২১ জন করে। একা করি না।
সেক্রেটারি সাইন করে বলে চিঠিটা পড়ে তাকে গালি দেয়। কিন্তু সাধারণ সভা করে সবার মতামত নিয়ে যে কোনো বিষয় পাস করানো হয়। আমি যদি অন্যায় করতাম তাহেলে ২১ জনের মধ্য ১৭ জন কেন আমার সঙ্গে নির্বাচন করছে। ডিপজল ভাই, রুবেল ভাই, রোজিনা আপা, অরুণা দি, বাপ্পা ভাই, অঞ্জনা আপা। এই মানুষগুলো লিজেন্ড ইন্ডাস্ট্রির। আমি ভালো কাজ করেছি বলেই ১৭ জন আমার পাশে আছে। তার মানে কিছু লোক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে বিতর্কিত প্রমাণ করার চেষ্টা করে। আমি শিল্পীদের কল্যানে কাজ করে গেছি। সততার সঙ্গে কাজ করে গেছি। তাই কিছু মানুষের শত্রু হয়েছি। আর কিছু না।