প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করেছে অস্ট্রিয়া। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এ নিয়ম কার্যকর হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রিয়াই প্রথম দেশ যারা ভ্যাকসিন নিয়ে এমন কঠিন অবস্থানে গেলো। দেশটির পার্লামেন্টে বৃহস্পতিবার বিষয়টি উত্থাপিত হয়। সেখানে এটি বিপুল ভোটে জয় পেয়ে অনুমোদিত হয়। এ খবর দিয়েছে জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে।
খবরে জানানো হয়, অস্ট্রিয়া-সহ ইইউভুক্ত দেশগুলিতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে কোভিড ভ্যাকসিন ও কড়াকড়ির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানিয়ে আসছেন। সেই বিক্ষোভকে উপেক্ষা করেই এই সিদ্ধান্ত নিল অস্ট্রিয়া। পার্লামেন্টে অতি-ডানপন্থিরা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।
তারপরেও প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৩৭টি ও বিরুদ্ধে পড়ে মাত্র ৩৩টি। এই প্রস্তাব অনুমোদিত হওয়ার ফলে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেয়ার প্রথম পর্ব চলবে। যারা ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকার করবেন, তাদের ৩ হাজার ৬০০ ইউরো জরিমানা দিতে হবে। তবে গর্ভবতী নারী এবং যারা চিকিৎসার কারণে এ ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না, তারা ছাড় পাবেন। শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদেরই বাধ্যতামূলকভাবে টিকা নিতে হবে।
এই বিল যখন পাস হচ্ছে, তখন অতি-ডানপন্থি ফ্রিডম পার্টি অফ অস্ট্রিয়া ভ্যাকসিন-বিরোধী বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। দলটির নেতারা বলছেন, তারা বিক্ষোভ অব্যাহত রাখবেন। নিজেরাও ভ্যাকসিন দেবেননা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। যদিও দেশটির অন্য দলগুলি ভ্যাকসিন দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছে।
উল্লেখ্য, অস্ট্রিয়ার জনসংখ্যা ৯০ লাখ। সেখানে ১ হাজার ৪০০ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ১৫ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৭০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের দুইটি ডোজ নিয়েছেন। এর আগে তাজিকিস্তান, তুর্কেমেনিস্তান, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলি ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করেছে। এবার সেই তালিকায় অস্ট্রিয়া যুক্ত হলো।
Kazi
২১ জানুয়ারি ২০২২, শুক্রবার, ১১:২৪Good news. It proved restrictions work. Control of mob contain spreading.