× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মামলার বাদী জেলে /চতুর্মুখী পরকীয়ার কারণে খুন হন পাইকগাছার পুষ্পেন্দু বিকাশ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২২ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার

খুলনার পাইকগাছায় চতুর্মুখী পরকীয়ার জেরে পুষ্পেন্দু বিকাশ (বাবু) হত্যা মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী অনুভা মণ্ডল নিজেই এখন কারাগারে। চলতি মাসের ১০ই জানুয়ারি পাইকগাছার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার ধার্য দিনে শুনানিতে বিজ্ঞ বিচারক বাদীকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
ইতিমধ্যে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় অন্য আসামিদের সঙ্গে অনুভা’র জড়িত থাকার অভিযোগে সিআইডি তার বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক (চার্জশিট) অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী অনুভা মণ্ডল বাদী হয়ে শামিম, একরামুলসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। খুনের একদিন পর স্থানীয়দের সহায়তায় কযরার নারায়ণপুর বাজারের একটি সেলুন থেকে শামিমকে গ্রেপ্তার করেন ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন এসআই স্বপন কুমার রায়। শামিমের দেয়া তথ্যানুযায়ী অপর আসামি একরামুল গ্রেপ্তার হয়। এরা দু’জনই খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। থানা পুলিশ, ডিবি ও সিআইডি’র পরিদর্শক খান গোলাম ছরোয়ারের দেয়া সম্পূরক অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বিয়ের পর পুষ্পেন্দু বিকাশ বাবু ( ৪০) ও স্ত্রী অনুভা মণ্ডলের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল। তাদের সাংসারিক জীবনে পুত্র ত্রিদিপ ও কন্যা অর্নি জন্মগ্রহণ করে।
এরইমধ্যে বাবু’র শ্যালিকা স্মৃতিকনা মণ্ডল ও পশ্চিম বাইনবাড়ীয়ার গৌরপদ বাইনের মধ্যে প্রেমর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনা জানাজানির এক পর্যায়ে পুষ্পেন্দু ও গৌর বাইনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও হাতাহাতি হলে শাশুড়ির অনুরোধে শ্যালিকা স্মৃতিকনাকে পুষ্পেন্দু নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখানে কিছুদিন যেতে না যেতেই পুষ্পেন্দু ও শ্যালিকা স্মৃতিকনার মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ ঘটনায় পুষ্পেন্দু ও স্ত্রী অনুভা’র মধ্যে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি ও সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এদিকে পুষ্পেন্দুর বন্ধু পাটনীখালীর পবিত্র মণ্ডল বগুড়ারচকে পুষ্পেন্দুর বাড়িতে আসলে স্ত্রী অনুভার সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে পবিত্র ও অনুভা দু’জনে নতুন করে প্রেমর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। চর্তুমুখী সম্পর্কের জেরে পুষ্পেন্দু-অনুভা দম্পতির সংসারে চরম সংকট দেখা দেয়। তিক্ততার একপর্যায়ে শাশুড়ি নীলা, স্ত্রী অনুভা, শ্যালিকার পূর্ব প্রেমিক গৌরপদ ও পবিত্র মণ্ডল মিলে পুষ্পেন্দু বাবুকে খুনের পরিকল্পনা করে। খুনের ১ সপ্তাহ আগে পবিত্র’র চায়ের দোকানের পিছনে শামিম, একরামুল, গৌরপদ ও সুজন একত্রে বসে হত্যার পরিকল্পনা করে। এ সময় পুষ্পেন্দুকে খুন করার জন্য বন্ধু পবিত্র শামিম ও একরামুলকে ৫০ হাজার টাকার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি হয়ে ঘটনার দিন অর্থাৎ গত ২০১৬ সালের ২৯শে নবেম্বর শামিম ও একরামুল সন্ধ্যার পূর্বে শুড়িখালী ব্রিজের কাছে পরিকল্পনা অনুযায়ী অবস্থান নেয়। এরপর বাবু এক শুড়িখালী বাজরের কাজ শেষে রাত ৮টার পর মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে পবিত্র মোবাইলে শামিম ও একরামুলকে জানিয়ে দিলে তারাও একটি মোটরসাইকেলে পিছু নেয়। বাবু পাতড়াবুনিয়া রহিম হাজীর ঘের সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে শামিম, একরামুল গংরা তার গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে বাবু’র মাথায় আঘাত করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত জেনে পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক বাবুকে উদ্ধারপূর্বক হাসপাতালে নেয়ার পথিমধ্যে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর