× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জয়ে শুরু ফরচুন বরিশালের

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২২ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) জয় দিয়ে শুরু করেছে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। গতকাল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল। দল হারলেও ব্যাট-বলে অবদান রেখে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৬ রানে ৪ উইকেট এই অফ স্পিনারের টি- টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএল’র অষ্টম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ১২৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করেনি বরিশাল। দলীয় ৩ রানেই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায় তারা। এরপর বাজে শটে সাকিব বোল্ড হয়ে ফিরলে দলে অস্বস্তি বাড়ে। তবে তৌহিদ হৃদয় ও সৈকত আলী মিলে সেই চাপ সামলে উঠেছিলেন।
কিন্তু এক ওভারে মিরাজের জোড়া আঘাত ও এক রান আউটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় চট্টগ্রাম। কিন্তু বাকি বোলাররা জিয়াউর রহমান ও ডোয়াইন ব্রাভোকে রুখে দিতে ব্যর্থ হলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে বরিশাল।  বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন সৈকত। ৩৫ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। জিয়াউর ১২ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ১৯ রান। ব্রাভো ১০ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ১৩ রান।
বিপিএল’র ৮ম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ক্যারিবীয় ওপেনার  কেনার লুইস। তবে শুরুটা যেমন হয়েছিল সময় গড়াতেই তা বদলে যায়। মিরপুর শেরবাংলা স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম শেষ পযন্ত ২০ ওভারে তোলে ১২৫ রান। টপ ও মিডল অর্ডারের বাজে ব্যাটিংয়ের মহড়ার পর আটে নেমে বেনি হাওয়েল করেন ২০ বলে ৪১। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করলেও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। ৮৭ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবার তিনি নিতে পেরেছেন ইনিংসে দু’টির বেশি উইকেট। এর আগে চট্টগ্রাম ব্যাটিংয়ে নামে টসে হেরে। প্রথমবার বিপিএল খেলতে নামা কেনার লুইস ম্যাচের প্রথম বলেই নাঈম হাসানের অফ স্পিন উড়িয়ে মারেন লং অন দিয়ে। অবশ্য তৃতীয় বলেই আবার লং অন দিয়ে ছক্কার চেষ্টায় সীমানায় ধরা পড়েন নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। তিনে নামা আফিফ হোসেন আউট হন খুব বাজে এক শটে। আলজারি জোসেফের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেট উপহার দিয়ে ফিরেছেন সাজঘরে। একে একে উইকেট পড়তে থাকলেও ১০০’ এর নিচেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে চট্টগ্রাম। ১৪ ওভারে রান মোটে ৬ উইকেটে ৬৩। ২০১৬ সালের পর প্রথমবার বিপিএল খেলতে নেমে নাঈম শুরু করেন ডোয়াইন ব্রাভোকে দারুণ ছক্কা মেরে। শেষটা যদিও ভালো করতে পারেননি অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। আউট হন ১৮ বলে ১৫ করে। চট্টগ্রাম  হঢে শেষ দিকে ডোয়াইন ব্রাভো ও জোসেফের ওপর ঝড় বইয়ে দেন হাওয়েল। তিনটি করে চার ও ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। তার ব্যাচে শেষ ৪ ওভারে ৪৮ রান তুলতে পারে চট্টগ্রাম।
অন্যদিকে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বরিশালের শুরুটাও দারুণ বাজে। দ্বিতীয় ওভারেই মিরাজের সোজা বল স্লগ করতে গিয়ে বোল্ড নাজমুল  হোসেন শান্ত। তিনে নেমে অধিনায়ক সাকিবও একইভাবে উইকেট উপহার দেন মিরাজকে। করেন ১৬ বলে ১৩ রান। তবে ওপেনিংয়ে ৩৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন সৈকত আলী। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান একটি ছক্কা মারেন বেনি হাওয়েলকে, আরেকটি মিরাজকে। এক পর্যায়ে ৩৫ বলে ৩৪ রান প্রয়োজন ছিল বরিশালের, উইকেট তখনও বাকি ৭টি। কিন্তু মিরাজের এক ওভারে তিন উইকেট ম্যাচে নিয়ে আসে উত্তেজনা। স্লগ করে ছক্কার চেষ্টায় সৈকত ৩৫ বলে ৩৯ রান করে আউট হন। ওভারের শেষ বলে আফিফের দুর্দান্ত থ্রোয়ে রান আউট হয়ে যান সালমান হোসেন। চাপে পড়া বরিশালকে সেখান থেকে জয়ের ঠিকানায় নিয়ে যান দুই অভিজ্ঞ ব্রাভো ও জিয়াউর। প্রথম স্পেলে দারুণ বোলিং করা তরুণ পেসার মুকিদুল ইসলামের এক ওভারে দু’টি চার ও একটি ছক্কা মেরে ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নিশ্চিত করে দেন জিয়াউর। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে অপরাজিত ১৯ রান।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর