× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশের বিরিয়ানি ভালো লেগেছে ডু প্লেসির

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২২ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার

২১শে জুন ২০২১ সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঠে পাকিস্তান সুপার লীগের (পিএসএল) ম্যাচে ফাফ ডু প্লেসি ফিল্ডিংয়ের সময় মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সতর্কতা হিসেবে। সেখানে চিকিৎসা শেষে তাকে অবশ্য ছেড়ে দেয়া হয়। মাথায় চোট বলেই কি না, একটু বাড়তি সতর্কই হতে হচ্ছে তাকে। পিএসএল-এ আর না খেলারই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তার জায়গায় কনকাশন বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন সাইমন আইয়ুব। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্মৃতিভ্রমও নাকি ঘটেছিল তার।
কিন্তু মাঠের যোদ্ধা বলে কথা। পিএসএল-এ আর না খেললেও এবার তিনি বিপিএল মাতাবেন বাংলাদেশে। খেলবেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে। আজ তিনি দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে তার দল কুমিল্লা। তবে মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে বাংলাদেশের সঙ্গে নিজের সখ্য গড়তে চাইছেন তিনি। এখনো বাংলা না শিখলেও এদেশের খাবার খেয়ে দারুণ আপ্লুত। তিনি বলেন, ‘না এখনও না (বাংলা শেখা), এখন স্থানীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করছি। গত রাতে বিরিয়ানি খেয়েছি, বেশ ভালো ছিল। এছাড়া পেয়ারা, মরিচ ও লেবু দিয়ে একটা খাবার দিয়েছিল একজন সেটাও আমার ভালো লেগেছে।’ দিনের আরেক ম্যাচে আজ বিকাল সাড়ে ৫টায় মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও মিনিস্টার ঢাকা। ২০২১ এ ডু প্লেসি পিএসএল-এ খেলেন কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের হয়ে। এবার একই সময়ে হচ্ছে বিপিএল ও পিএসএল। আর পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি লীগ বাদ দিয়ে ডু প্লেসি এসেছেন বাংলাদেশে।  দক্ষিণ অফ্রিকার এই তারকা বিপিএল-এ এসেছেন পরিষ্কার লক্ষ্য নিয়েই। বিপিএল নিয়ে নিজের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে তিনি এদেশের উইকেট, কন্ডিশন নিয়ে জানান তার পরিষ্কার ধারণা। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এটাই তো পরিকল্পনা। এজন্যই তো আমি এখানে। দলের জন্য ভালো করতে চেষ্টা করা। অবশ্য শুরুতে আমাকে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। প্রত্যেক দেশ আলাদা এবং এর চ্যালেঞ্জও আলাদা। ঢাকায় বেশির ভাগ সময় ধীর ও নিচু উইকেট থাকে কিন্তু চট্টগ্রামে আবার একটু ভালো উইকেট হয়। তো পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমাদের চেষ্টা থাকবে বিভিন্ন পিচে ভালো খেলার।’ প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে নিজের প্রস্তুতি হিসেবে আত্মবিশ্বাসের কথাটাই জানান তিনি। ডু প্লেসি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- টুর্নামেন্টটা হচ্ছে। কোভিডের সময় এটাই সবচেয়ে বড় ও প্রথম চ্যালেঞ্জ। আর এমন টুর্নামেন্টে সবসময় শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, যারা খেলতে আসে অনেকেই খেলার মধ্যে থাকে আবার অনেকে সে অবস্থায় থাকে না। তো ওই অবস্থা থেকেও আত্মবিশ্বাস নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ।’ বিপিএল’র মতো আসরে প্রত্যাশাটাও তার কাছে পরিষ্কার। তিনি বলেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিরা সবসময়ই সাফল্য চায়। আমার মতো বা সব ক্রিকেটারও এটাই চায়। আমার যে অভিজ্ঞতা আছে আমি অবশ্যই তা সবার সঙ্গে শেয়ার করবো। আর ব্যাটার বা নেতৃত্বের জায়গা থেকেও আমার যতটা সম্ভব দলের সঙ্গে শেয়ার করবো। দ্বিতীয় লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিযোগিতার মধ্যে থেকে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়া।’
ডু প্লেসি ভারতের ঘরোয়া আসর আইপিএল-এ খেলেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। ফাইনালের ম্যাচসেরা তারকা সর্বশেষ আসরে নেন শিরোপার স্বাদও। বিপিএলও তার সেই অভিজ্ঞতা কাজে আসবে বলেই অনুমেয়। তবে তিনি কুমিল্লার সঙ্গে সিএসকে’র মিল খুঁজে পাওয়ার দারুণ এক তথ্য দিলেন। তিনি বলেন, ‘দেখুন দুই দলের (সিএসকে-কুমিল্লা) মধ্যে সাদৃশ্য দেখেছি, যেমন দুই দলই চ্যাম্পিয়ন এবং নিজ নিজ টুর্নামেন্টে খুব ভালো করেছে, তাই আমার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়াটাও সহজ ছিল।

আর দুই দলের মধ্যে অন্য সাদৃশ্য খোঁজাটা আমার জন্য এখনও নতুন। আমি মাত্রই এসেছি। এমনিতে দলটা খুব রিল্যাক্স। বিপিএল অভিজ্ঞতা অবশ্যই ভালো হবে। খেলোয়াড় হিসেবে সব কন্ডিশনেই আপনাকে খেলতে হবে এবং এতে করে আপনি আরও ভালো খেলোয়াড় হতে পারবেন। যদিও আমি বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় খেলেছি, এখানে এসে আমাকে কিন্তু অন্য স্কিল কাজে লাগাতে হচ্ছে। ব্যাটসম্যান হিসেবে এখানে অভিজ্ঞতা অর্জন করা আমি সত্যিই পছন্দ করি।’ দক্ষিণ আফ্রিকার এই তারকা এখন শুধু টি-টোয়েন্টি খেলেন। এ  নিয়ে ডু প্লেসি বলেন, ’শুধু টি-টোয়েন্টি খেলা অবশ্যই দারুণ। আপনি সকাল ৭টায় উঠে টেস্ট ম্যাচ খেলতে চাইবেন না। একই সঙ্গে এখানে এসে সকাল ৭টায় উঠে অনুশীলনে যেতে হচ্ছে, তো একজনকে বলছিলাম  আমাকে আর এটা করতে হচ্ছে না কিন্তু এখন তুমি আমাকে এত সকালে অনুশীলনে নিচ্ছো। এর কারণ অনুশীলনে অনেক কিছুই তো করতে হয়। টি-টোয়েন্টি সবসময়ই ভালো লাগে কারণ এখানে অনেক ম্যাচ খেলা হয় এবং চার সপ্তাহের মধ্যে আসর শেষ হয়।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর