কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হামিদ টিটু (নৌকা) এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী আজিজুল হক তোতা (আনারস) এর দুটি নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বিকালে সুখিয়া ইউনিয়নের আশুতিয়া বাজারে বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন আজিজুল হক তোতা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হামিদ টিটুর কর্মী-সমর্থকরা জোর করে কেন্দ্র দখল করে নিয়ে যাবে বলে অনবরত হুমকি দিচ্ছে। তারা গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আমার দুটি নির্বাচনী কার্যালয় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া আমার আনারস প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের নির্বাচনী কাজে বাধা দিচ্ছে। আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। আমার এ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনোয়ার হোসেন স্বপন ও কেরামত আলী, উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবিএম হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম হাসান, সুখিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল ইসলাম হবি, সুখিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক সোহেল প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলন শেষে নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিদ্রোহী প্রার্থী আজিজুল হক তোতার নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি আশুতিয়া বাজারের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হামিদ টিটু মানবজমিনকে বলেন, তিনদিন আগে কোষাকান্দা এলাকায় মিছিল করে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন আমার অফিস ভাঙচুর করে। এরপরও আমি আমার কর্মীদের সংযত রেখেছি। কেননা, আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ। নির্বাচনকে ঘিরে কোনো অশান্তি চাই না। বিদ্রোহী প্রার্থী আজিজুল হক তোতা নির্বাচনে তার ভরাডুবির বিষয়টি বুঝতে পেরে মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।