× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কৃতজ্ঞতায় পূর্ণ হৃদয় নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়ছি

শেষের পাতা

কূটনৈতিক রিপোর্টার
২২ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার

তিন বছরের বেশি সময় সফলতার সঙ্গে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকারী মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বিদায় নিয়েছেন। শুক্রবার অপরাহ্নে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে গেছেন। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, মিলার তার পূর্বনির্ধারিত সব অফিসিয়াল সাক্ষাৎ সম্পন্ন করলেও করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণের ঝুঁকিসহ বিভিন্ন কারণে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখা পাননি। রাষ্ট্রাচার অনুয়ায়ী বিদায়ী দূতরা রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সাক্ষাৎ পেয়ে থাকেন। সাধারণত ন্যাচারাল বাধা, বিরক্তি বা বিব্রতকর কোনো পরিস্থিতি না হলে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ থেকে রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের বঞ্চিত করা হয় না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটা নিশ্চিত করেছে যে কূটনৈতিক শিষ্টাচার মতে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা রাষ্ট্রদূত মিলারকে বিমানবন্দরে আন্তরিক বিদায় জানান।
এদিকে বাংলাদেশ ছাড়ার সময় টুইটারে বিভিন্ন অঞ্চলে নানান শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে নিজের বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন মিলার।

এতে তিনি লেখেন, গত তিন বছর বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জীবনের বড় এক সম্মান এবং আনন্দের বিষয়। আমি চমৎকার সব স্মৃতি নিয়ে কৃতজ্ঞচিত্তে বাংলাদেশ হতে প্রস্থান করছি।
মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজ থেকেও মিলারের একটি বিদায়ী বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তিনি বলেন, আমাকে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের সময় সব থেকে প্রিয় স্মৃতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। কিন্তু এতো সুন্দর স্মৃতি সব বর্ণনা করা সম্ভব নয়। আমি জানি, আমি এদেশের রিকশার রঙ এবং এর চালকদের চেহারা মিস করবো। পুরনো ঢাকার ছাদ আর ঘুড়ি কিংবা সন্ধ্যার আকাশে পাখির উড়ে যাওয়া মনে পড়বে। আমি দেখেছি, স্কুল ইউনিফর্ম পরা শিশুরা গ্রামের রাস্তায় হেঁটে বাড়ি যাচ্ছে। এছাড়া জাহাজভর্তি চট্টগ্রামের নদী, কক্সবাজারে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নৌকা, সিলেটের গাঢ় সবুজ পাহাড়, বরিশালের উদ্দাম সবুজ, বান্দরবানের পাহাড় ও সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভে সকালের কুয়াশা; সবই অনবদ্য।’
তিনি আরও বলেন, গত তিন বছরে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জীবনের একটি বড় সম্মান এবং আনন্দ। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক শক্তিশালী এবং সামনের দিনগুলোতে এটি আরও শক্তিশালী হতে থাকবে। ১৯৭২ সালে সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বলেছিলেন যে, আমেরিকার আসল পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে, নাগরিক ও নাগরিকের মধ্যে, বন্ধু ও বন্ধুর মধ্যে, মানুষ ও মানুষের মধ্যে। আমি আশা করছি, দুই দেশের মধ্যে বন্ধু-বন্ধু সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে আমি অবদান রাখতে পেরেছি।
আর্ল মিলার বলেন, আমি সম্মানীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছি যে, আমি আমার দায়িত্বের প্রথম ৮ মাসেই বাংলাদেশের সকল বিভাগ ভ্রমণ করেছি। এটি করতে পেরে আমি ভাগ্যবান। এই মহান দেশের অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা করতে পেরে আমি ভাগ্যবান। আমি মনে করি, বাংলাদেশিরা তাদের এই আন্তরিকতা, উদারতা এবং মহত্বের জন্য স্বতন্ত্র। বাংলাদেশের মানুষ যে দয়া ও অনুগ্রহ দেখিয়েছেন তা আমি আজীবন মনে রাখবো। এই অসাধারণ দেশের বিশেষ অতিথি হতে পারার সুযোগ পাওয়ায় আমি কৃতজ্ঞতায় পূর্ণ হৃদয় নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়তে যাচ্ছি। বক্তব্যের শেষে আবেদন জানিয়ে মিলার বলেন, আমি ও আমার পরিবার যে আন্তরিকতা ও সমর্থন পেয়েছি তা যেন যখন পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হাসও পান।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৮ই নভেম্বর বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেন মিলার। বিদায়ী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মিশনকে তিনি তার পেশাগত জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় বলে আখ্যা দিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর