অস্কার দোস সান্তোস, কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া ব্রাজিলিয়ান স্টার। ভক্ত-সমর্থকরা একটি বিশেষ কারণে অস্কারকে মনে রাখতেই পারে! বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত ব্রাজিলের একমাত্র গোল পরিশোধকারী ছিলেন অস্কার। ২০১৫ সালের পর আর ব্রাজিলের নীল-হলুদ জার্সি গায়ে ওঠেনি তার। ২০১৭ সালে চেলসি ছেড়ে পাড়ি জমান চীনে, যোগ দেন সাংহাই পোর্টে। মাঝে শোনা যায় জাতীয়তা বদলে চীন ন্যাশনাল টিমের জার্সি গায়ে জড়াতে চান অস্কার। এক সময়ের আলো ছড়ানো এই তারকা ফুটবলার আবারো লাইমলাইটে এসেছেন বার্সেলোনার কারণে। কাতালান ক্লাবটি অস্কারকে ভেড়াতে চায় দলে। বিষয়টি এতদিন গুঞ্জনে সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার অস্কার জানালেন তার আগ্রহের কথা।
ফিলিপে কুটিনহোকে অ্যাস্টন ভিলায় পাঠিয়েছে বার্সেলোনা।
ব্রাজিলিয়ান তারকার রয়েছে ভিলা পার্কে স্থায়ী হওয়ারও সম্ভাবনা। কুটিনহোর শূন্যস্থান পূরণেই অস্কারের দিকে হাত বাড়িয়েছে বার্সেলোনা। ইতিমধ্যেই ব্লাউগ্রানারা যোগাযোগ করেছে অস্কারের অ্যাজেন্টের সঙ্গে। প্রস্তাবের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অস্কার। সম্প্রতি ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম টিএনটি স্পোর্টসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তারা কথা বলেছে। নিজেদের আগ্রহের কথাও জানিয়েছে। বার্সেলোনা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কারণ তাদের নতুন খেলোয়াড় রেজিস্টার করায় জটিলতা রয়েছে। আমাকেও আমার ক্লাবের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমার মনে হয় মৌসুমের শেষে দলবদলটা হওয়াই ভালো।’
সাংহাই পোর্টে যোগ দেয়ার আগে প্রায় পাঁচ বছর কাটিয়েছেন চেলসির হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ মাতিয়েছেন অস্কার। চীনা ক্লাবটির সঙ্গে অস্কারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে।
ব্রাজিলের হয়ে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জিতে চেলসিতে ডাক পান অস্কার। ক্লাবের পারফরম্যান্স দিয়ে ব্রাজিল দলে নিয়মিত হয়েছিলেন। ২০১৩ কনফেডারেশন কাপ জয়ী দলের সদস্যও ছিলেন। ২০১৪ বিশ্বকাপেও ব্রাজিলের মূল খেলোয়াড়দেরও একজন ছিলেন অস্কার। কিন্তু ধীরে ধীরে খেলার ধার হারিয়ে ব্রাত্য হয়ে পড়েন জাতীয় দলে। ব্রাজিলের হয়ে সর্বশেষ মাঠে নেমেছেন ২০১৫ সালের নভেম্বরে। ২০১৬ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোতে স্কোয়াডে ডাক পেলেও বেঞ্চে বসে থেকেই সময় কাটিয়েছিলেন।