সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানের সালিশ বৈঠকে উভয়পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রহমত মল্লিক (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় ভুরুলিয়া ইউনিয়নের সিরাজপুর হাটখোলায়। শ্যামনগর থানা পুলিশ এ ঘটনায় নজরুল (৪০) ও আব্দুল হামিদ (৩৮)কে আটক করেছে। এলাকাবাসী জানায়, ভুরুলিয়া ইউনিয়নের মধুসূদনপুর খালের ধানক্ষেতে পানি দেয়া ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব নিরসনে ভুরুলিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ একেএম জাফরুল আলম বাবু সালিশি বৈঠক ডাকেন। সালিশ চলাকালে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হন। আহতদের শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহমত মল্লিক শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মারা যান। আহতরা হলেন- আয়ুব আলী (৪৫), শফিকুল (৩৫), রফিকুল (৫০), জমাত আলী (৫৫), রেজাউল আলী (৪৭), আলামিন (২২) ও মিয়ারাজ (২৮)। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জানান, মধুসূদনপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির খালের পানি নিয়ে ইজারাদার ও স্থানীয়দের মধ্যে বিরোধ ছিল। দু’পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার জন্য সালিশ ডাকি। সালিশে শুনানিকালে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। বিচার চলাকালীন উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তারা উভয়ে সহনশীল হলে এ ঘটনা ঘটতো না। আহত আলামিন বলেন, খালটা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে ডেকে বিচার করার সময় মারামারি শুরু হয়। এলাকাবাসী আরও জানায়, শপথ গ্রহণ না করে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সালিশ না ডাকলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতো না বা একজন মানুষের এভাবে মৃত্যু হতো না। শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) কাজী শহিদুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে নিহত রহমত মল্লিকের ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ২৬ জনের নামে শ্যামনগর থানায় মামলা করেছে। মামলা নং ২০। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে মর্মে ওসি (তদন্ত) কাজী শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।