রাজশাহীর চারঘাটে অপসোনিন ফার্মা লিমিটেডের ক্লোনাজিপাম গ্রুপের ২ লাখ ৬৩ হাজার পিস পেইস ০.৫ ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে গোপন সংবাদে উপজেলার চারঘাট-বাঘা মহাসড়কের শলুয়া তালতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওষুধগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
চিকিৎসকরা জানান, অপসোনিন ফার্মার ক্লোনাজিপাম গ্রুপের পেইস ০.৫ ট্যাবলেট সাধারণত মানসিক সমস্যা (এগোরাফোবিয়া) বা মানসিক অস্থিরতা (প্যানিক ডিসঅর্ডার) রোগীকে দেয়া হয়ে থাকে।
পুলিশ জানায়, ওষুধগুলো অসৎ ব্যবসার উদ্দেশ্যে অন্যত্র নেয়ার জন্য চারঘাট-বাঘা মহাসড়কের তালতলায় অবস্থান করছিল। এমতাবস্থায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চারঘাট মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বস্তাভর্তি ওষুধ রেখে পালিয়ে যায় অসাধু ব্যবসায়ী চক্র। এ সময় সাদা প্লাস্টিকের ১৩ বস্তা (২ লাখ ৬৩ হাজার পিস পেইস ০.৫ ট্যাবলেট) ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। ওষুধগুলো সবই আসল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া ওষুধের বিষয়ে জানতে চাইলে অপসোনিন ফার্মা লিমিটেডের রাজশাহী ডিপো ইনচার্জ জাফর সাদেক জানান, উদ্ধার হওয়া মেডিসিন সম্পর্কে জানা নেই। পেইস ০.৫ ট্যাবলেট ব্যবস্থাপনা পত্রের ওষুধ।
এ এলাকায় এত পরিমাণ আসল ওষুধ থাকার কথা নয়। উদ্ধার হওয়া ওষুধ সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে- সেগুলো আসল না নকল।
চারঘাট উপজেলা মাদক প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই চারঘাটের এক শ্রেণির যুবক কাশির সিরাপের সঙ্গে পেইস ০.৫ ট্যাবলেট মিশিয়ে নেশা করছে। এই এলাকায় এই ট্যাবলেটের প্রচুর চাহিদা। ওষুধের দোকানগুলোতেও অপ্রতুল। এজন্যই চোরাই ভাবে মাদকের মতো বিক্রির উদ্দেশ্যে এই ওষুধ আমদানি করছিল কেউ। এর সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২ লাখ ৬৩ হাজার পিস পেইস ০.৫ ট্যাবলেট আটক করেছি। ওষুধগুলো সবই আসল, কোম্পানির লোকদের দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। তবে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।