স্বল্প খরচে মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে কোনো বাণিজ্য লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়। একদিকে যেমন মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়ার সুযোগ পাবে, অপরদিকে যাদের মেধা কম রয়েছে তাদেরকেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মানসম্পন্ন শিক্ষা দিয়ে মেধাবী হিসেবে গড়ে তোলাই হচ্ছে বড় ক্রেডিট। মেয়র বলেন, কোয়ালিটি শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত, সেবার লক্ষ্য নিয়ে অলাভজনক এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থান পাবে সকল ধরনের শিক্ষার্থীরা। রংপুর সিটি মেয়র বলেন, রংপুরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরপরও অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় না। ৩৩ ওয়ার্ডের প্রায় ১০ লাখ মানুষ নিয়ে বিশাল এ সিটি করপোরেশনে প্রতি বছরে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার জন্য অনেকে আমার কাছে সুপারিশ নিতে আসেন। ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার চেয়ে খরচের ব্যয় অনেক বেশি।
এতে করে দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষজনের সন্তান শিক্ষার সুযোগ পায় না। মেয়র মোস্তফা বলেন, ২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর নানান সমস্যায় জর্জরিত রংপুর সিটি করপোরেশনে এক এক করে উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। সব কাজ একবারে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে তার মান ভালো থাকে। এজন্য সকলকে অপেক্ষা করতে হবে। কেউ কেউ চায় রাতারাতি তাদের সমস্যা সমাধান হোক। এটা কি সম্ভব। ইতিমধ্যে আমার মেয়াদের প্রায় ৪ বছর পেরিয়ে গেছে। উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে। আগামীতে পুনরায় নির্বাচিত হলে নাগরিক সেবা দেয়ার লক্ষ্য নিয়েই রংপুর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে একটি মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধান করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। যা বাংলাদেশের এক মডেল সিটি করপোরেশন হিসেবে স্থান পাবে। পরবর্তীতে যে মেয়র ও পরিষদ থাকবে, তাদের কাছেই এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের সুপারিশ নিয়ে মানুষজন আসবে। আর এটাই হবে রংপুর সিটি করপোরেশনের গর্বের বিষয়। মেয়র বলেন, রংপুর উন্নয়নে এ অঞ্চলের গৃহবধূ, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক। আমরা জনবলের অভাবে ফান্ড এনে কাজ করতে পারছি না। তবে রংপুর নগরবাসীর প্রশংসা করে বলেন, এলাকার মানুষজন তাদের কর সঠিকভাবে পরিশোধ করায় কাজের অগ্রগতি হচ্ছে।