× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খুলনায় হারবাল চিকিৎসার নামে প্রতারণা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৩ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার

খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় হারবাল ও ইউনানি চিকিৎসার নামে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অসংখ্যক প্রতিষ্ঠান। যেখানে অর্শ্ব, পাইলস্‌, নাকের পলিপাস, যৌন দুর্বলতা, স্বাস্থ্যহীনতা, মেদ ভুঁড়ি, হাপানী, শ্বাসকষ্ট, চুলপড়া, উচ্চতা বৃদ্ধি, জন্ডিস, গেজ, পিত্ত ও মুত্র পাথুরী, মহিলাদের আর্কষণীয় ফিগার, ব্রণ-মেছতা, পুরাতন আমাশয়, গ্যাস্ট্রিক, আলসার, বাতসহ নারী-পুরুষের গোপনীয় রোগের তাও আবার ২৪ ঘণ্টায় বা ৭-১৪ দিন, ৩ মাসের মাথায় সেরে ওঠার গ্যারান্টি দেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, এ সকল প্রতিষ্ঠান হতে রোগ হতে মুক্তির শতভাগ গ্যারান্টি প্রদান করা হয়ে তা কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা চিকিৎসা শাস্ত্রে নাই। একইসঙ্গে এ সকল আয়ুর্বেদিক বা ইউনানি প্রতিষ্ঠানের অশালীন বিজ্ঞাপনে পরিবার-পরিজন নিয়ে শহরসহ সর্বত্র চলাচলে দায় হয়ে পড়েছে।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, স্থাপনা, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের দেয়াল বিশেষ করে নগরীর শিববাড়ী, ডাকবাংলো, পাওয়ার হাউজ, ফেরিঘাট, ময়লাপোতা মোড়, সাতরাস্তা, পিটিআই মোড়, টুটপাড়া কবরখানা মোড়, রূপসা, গল্লামারী, জোড়াগেট, বয়রা, বৈকালী, খালিশপুর, দৌলতপুর, ফুলবাড়ীগেট ও শিরোমণিসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাজারের অলিগলিতে, বৈদ্যুতিক খুঁটিতে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে, আবাসিক ভবনের দেয়ালে রাতের আঁধারে মেরে যাচ্ছে অশালীন এসব বিজ্ঞাপন। মানুষকে প্রতারণা করা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলা এ সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর আলম জানান, ১৯৭৪ সালে সারা বিশ্বের চিকিৎসকদের নিয়ে একটি আল মাতা দি ডিক্লেয়েশন জানানো হয়, কোনো রোগীর ব্যাপারে রোগ সেরে যাবে এমন কোনো নিশ্চয়তা দেয়া যাবে না। তবে- আয়ুবের্দ চিকিৎসকগণ কীভাবে প্রদান করেন তা আমার জানা নাই। দ্রুত কোনো চিকিৎসাসেবা নিলে তা ফলপ্রসূ হয় না। বরং বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) পুলক কুমার মণ্ডল জানান, যেহেতু করোনা ঊর্ধ্বমুখী তাই স্বাস্থ্যবিধির উপর জেলা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। তারপরও যে সকল বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বস্ত করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর