× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘এই উইকেটে রান করা অনেক কঠিন’

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৩ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার

টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন বিপিএলে স্পোর্টিং উইকেট আশা করেন তিনি। উইকেট কতটুকু স্পোর্টিং হবে, গতকাল মিরপুরে দিনের প্রথম ম্যাচের পর প্রশ্নটা উঠতেই পারে। আগে ব্যাট করে মাত্র ৯৬ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট সানরাইজার্স। সেটি তাড়া করতেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের খেলতে হয়েছে ১৮.৪ ওভার। পড়েছে ৮ উইকেট। ম্যাচের পর সিলেটের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার এনামুল হক বিজয় বলেন, ‘এখানে একটু নয়, রান করা অনেক কঠিন।’
বিশ্বকাপের আগে মিরপুরে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে লো স্কোরিং ম্যাচ দেখা গিয়েছিল। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষেও সিরিজেও প্রত্যাশিত স্কোর হয়নি। বিপিএলেও একই চিত্র।
সিলেট সানরাইজার্স-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ম্যাচে দাপট দেখালেন বোলাররা, আরো স্পষ্ট করে বললে স্পিনাররা। কুমিল্লার বিশেষজ্ঞ স্পিনার তানভির ইসলামের বোলিংয়ে মিলেছে বেশ কয়েকটি বড় বড় টার্ন। পার্টটাইমার মুমিনুল হকক সৌরভও বল হাতে পেয়েছেন সাফল্য। নিজের দ্বিতীয় ওভারে রবি বোপারার উইকেট তুলে নেন মুমিনুল। দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনাদের দিয়েই কুমিল্লাকে চেপে ধরে সিলেট। মোসাদ্দেক সৈকত, সোহাগ গাজী ও নাজমুল অপু মিলে নেন ৭টি উইকেট।
সিলেটের উইকেটরক্ষক ব্যাটার এনামুল হক মনে করেন, টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য আদর্শ উইকেট ছিল না এটি। ৯ বলে ৩ রান করে আউট হওয়া এই ব্যাটার বলেন, ‘আসলে আমাদের কাছে উইকেটটা টি-টোয়েন্টির মতো মনে হয়নি। ব্যাটিং করা বেশ কঠিন ছিল ব্যাটারদের জন্য। উইকেট ভেজা ছিল, টার্ন ছিল। যে কারণে ব্যাটাররা স্বচ্ছন্দে খেলতে পারেনি এটাও সত্য। দুইটা দলই একইভাবে খেলেছে। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে কঠিনই মনে হয়েছে। সবার কাছেই আসলে কঠিন মনে হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে একটু কঠিন এমন উইকেট থাকলে রান বের করা। সব মিলিয়ে এ কারণেই আমার কাছে মনে হয়েছে রানটা হয়নি।’ টার্নিং উইকেটে পরে ব্যাটিং সুবিধাজনক। টস জেতা তাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করছেন এনামুল বিজয়। তিনি বলেন, ‘উইকেট তো আমরা সবাই দেখেছি প্রত্যাশানুযায়ী ওইরকম পাইনি।
টসটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা যদি টসে জিততাম, আমরাও ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতাম। আপনারা সবাই দেখেছেন কী পরিমাণ টার্ন হচ্ছিল। বল কাট করছিল। একটু নয়, অনেকখানিই কঠিন ছিল উইকেট।’
পুরো ২০ ওভার খেলতে পারেনি সিলেট সানরাইজার্স। ৫ বল বাকি থাকতে অল আউট হয় তারা। সর্বোচ্চ ২০ রান আসে কলিন ইনগ্রামের ব্যাট থেকে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ ‘মিস্টার এক্সটার’। দলীয় সংগ্রহে ২০ রান কম হওয়ার আক্ষেপ করে বিজয় বলেন, ‘আসলে প্রথমেই আমরা দেখেছি রানটা একটু কম হয়ে গেছে। উইকেট অনুযায়ী আমাদের ব্যাটাররা একটু হলেও তাড়াহুড়ো করেছি আমরা। ওই জায়গায় আমরা যদি একটু সময় নিতে পারতাম, আর কিছু রান করতে পারতাম... আর ২০টা রান বেশি হলেও খেলাটা জমতে পারতো।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর