× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এবার ব্যাংক ঋণ পরিশোধে জুন পর্যন্ত সময় চান ব্যবসায়ীরা

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ২২, ২০২২, শনিবার, ৯:১১ অপরাহ্ন

করোনা মহামারির মধ্যে এখনও দেশের ব্যবসা বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। এমন অবস্থায় ব্যাংক ঋণের কিস্তি পরিশোধে অন্তত জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

শনিবার রাজধানীর মতিঝিল ফেডারেশন ভবনে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) আয়োজিত কাউন্সিল অব চেম্বার প্রেসিডেন্টস-২০২২ এর মতবিনিময় সভায় এই অনুরোধ জানান তারা।

সভায় মেট্রোপলিটন চেম্বার, ঢাকা চেম্বার, চট্টগ্রাম চেম্বার ও বাংলাদেশ চেম্বার ছাড়াও সারাদেশ থেকে আগত জেলা চেম্বার ও নারী উদ্যোক্তা চেম্বাররের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

ব্যবসায়ীরা বলেন, করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার পর এখন অমিক্রণ ধরনের সংক্রমণে ব্যবসা বাণিজ্যে পুনরায় নাজুক পরিস্থিত তৈরি হয়েছে। এমন অবস্থায় অনেক ব্যবসায়ীর ঋনের কিস্তি দেয়ার সক্ষমতা নেই। এমন পরিস্থিতিতে সময় না বাড়ালে ঋণগ্রহীতরা অনেকে খেলাপি হবেন, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সারাদেশের ব্যবসায়ীরা ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানোর অনুরোধ করছেন। ঋণ শ্রেণিকরণ সুবিধার মেয়াদ না বাড়ালে অন্তত ৫০ শতাংশ ব্যবসায়ী খেলাপি হবেন।

তিনি বলেন, মহামারিকালীন মন্দা কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সহায়তা এখন আরও বেশি দরকার। তা না হলে, ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধার কঠিন হয়ে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্দেশে পর্যটন, পরিবহন ও রেস্টুরেন্টসহ যেসব খাতের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রাখা ছিল, সেখাতগুলো এখনও প্রণোদনার ঋণ পায়নি। এছাড়া মহামারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা।
কিন্তু অন্যান্য প্রণোদনা তহবিলের অর্থ প্রায় শতভাগ ছাড় হলেও, এসএমই প্রণোদনার বড় অংশ বিতরণ হয়নি।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে ছোট আকারের ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোর অনীহা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো মনে করে ছোট আকারের ঋণ দেয়া লাভজনক নয়। বড় ব্যবসা খাতে ঋণ দিলে ব্যাংকের জনবল ও খরচ কম হয়। কিন্তু এ ধারণা ভুল, বরং এতে মন্দ ঋণের ঝুঁকি বাড়ে। এসএমই খাতে খেলাপি ঋণ নেই বললেই চলে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিল অব চেম্বার প্রেসিডেন্টস সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।

তিনি বলেন, নতুন আয়কর আইন যেন ব্যবসাবান্ধব ও বাস্তবায়নযোগ্য হয়।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন চেম্বার নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরেও জেলা পর্যায়ের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা সরকার ঘোষিত প্রণোদনার ঋণ পাচ্ছেন না। এ কারণে প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের পক্ষে ব্যবসা পুনরুদ্ধার করা দুরুহ হয়ে পড়েছে। অডিটের ক্ষেত্রে সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট বাস্তবায়ন হলে তা পুরো অর্থনীতিতে বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা।

তারা বলেন, কারখানা স্থাপনে ৩৩টি লাইসেন্স নিতে হয়। এসব সনদ নিতে অনেক সময় ভোগান্তির মধ্যে পড়েন ব্যবসারা। এই সমস্যা সমাধানে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর দাবি জানান তারা। একইসঙ্গে লাভ ক্ষতি নির্বিশেষে টার্নওভার ট্যাক্সের বিধান বাতিল করে শুধু আয়ের ওপর কর আরোপের দাবি করেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর