করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অফিস-আদালতগুলো অর্ধেক লোকবলে চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এ অবস্থায় দেশের সব অধস্তন (বিচারিক) আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বিচারক শারীরিক উপস্থিতির পাশাপাশি প্রয়োজনে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতেও বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারবেন বলে নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। আজ থেকে দেশের সব দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। গতকাল প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সব অধঃস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালের বিচারক দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলায় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শারীরিক উপস্থিতিতে অথবা ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন-২০২০’ এবং এই কোর্টের জারি করা এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণসহ তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সব ধরনের বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। প্রয়োজনীয় সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়ে শারীরিক উপস্থিতিতে অধঃস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে সব ধরনের মামলা করা যাবে। বিচারক শারীরিক উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি/ব্যক্তিরা অধঃস্তন ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ আবেদন দাখিল করতে পারবেন। এতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিতকরণ এবং সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে জেলা ও দায়রা জজ/মহানগর দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনাক্রমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে গাউন পরিধানের বাধ্যবাধকতা নেই। এর আগে গত ১৯শে জানুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ ভার্চ্যুয়ালি পরিচালিত হচ্ছে।