× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খুশিতে আত্মহারা লামার কৃষকরা

বাংলারজমিন

লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি
২৩ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার

লামা উপজেলায় বছরব্যাপী সেচ সুবিধা পাকা ড্রেইন নির্মাণ কাজ ৮০ শতাংশ অগ্রগতি হওয়ায় এবং এলাকার এক ফসলি জমি তিন ফসলি জমিতে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। তাই খুশিতে আত্মহারা স্থানীয় কৃষক ও কৃষি পরিবার। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ১৭ হাজার ৯শ’ মিটার সেচ ড্রেইন নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে। মোট ১৩টি সেচ ড্রেইন নির্মাণ ও পাম্প মেশিন স্থাপন প্রকল্পে সর্বমোট ব্যয় হচ্ছে ১১২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সেচের জন্য ভূ-উপরিস্থ নালা ব্যবহারের কারণে প্রচুর পানি অপচয় হয়। উপরন্তু কৃষি জমি নষ্ট হয়। পানির অপচয় রোধ ও কৃষি জমি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছর হতে সেচের জন্য স্থায়ীভাবে পাকা ড্রেইন সেচ নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। স্থানীয় কৃষক মো. বেলাল উদ্দীন জানান, সেচ ড্রেইন স্থাপনের কারণে ৫০ শতাংশ সেচের পানি সাশ্রয়সহ ১৩ হাজার বিঘা জমি কৃষিখাতের আওতায় আসবে।
এবং তাতে প্রতিবছর অতিরিক্ত ২৩ হাজার মেঃ টন খাদ্যশস্য উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, বোরো ধান উৎপাদনে প্রচুুর পানির প্রয়োজন হয়, স্থায়ীভাবে সেচ ড্রেইন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি হওয়ায় আমরা আনন্দিত। কৃষকের উৎপাদিত ফসল বনায়ন ও কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রামীণ সড়ক নির্মাণসহ খাল পারাপারের লক্ষে পোপা খালের উপর পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালে ব্রিজের কাজ শুরু করে পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। চলতি বছর ২০২২ সালের মধ্যে ব্রিজটি সড়কের সঙ্গে চলাচলের উপযোগী করতে অ্যাপ্রোচের কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। গত ১৮ই জানুয়ারি ২০২২ লামা উপজেলায় সেচ ড্রেইন নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে আসেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান নূরুল আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, কৃষি এ দেশের অর্থনীতির এক অতি গুরুত্বপূর্ণ খাত। বর্তমানে দেশে জিডিপির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অর্জিত হয় কৃষিখাত থেকে। তাই কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কৃষিখাতে উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ সময় তিনি জানান, ড্রেইন নির্মাণ কাজ টেকসই ও গুনগত মান সঠিক পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী  মো. ইয়াছির আরাফাত বলেন, এখনো এ দেশের বিপুল জনসংখ্যার কর্মসংস্থানও হয়ে থাকে কৃষিকে অবলম্বন করে। তাই কৃষিখাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পানি সেচের স্থায়ীভাবে সুবিধার জন্য এই পাকা ড্রেইন নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর