× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিক্ষামন্ত্রীর আলোচনায় আসেনি সমাধান, সময় চাইলেন শিক্ষার্থীরা

অনলাইন

শাবি প্রতিনিধি
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ২৩, ২০২২, রবিবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন

ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে দীর্ঘ সোয়া এক ঘন্টা আলোচনা করেও কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি কেউ। বরং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পক্ষ থেকে অনশন ভাঙার প্রস্তাব এলে সময় চাইলেন শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে এক দফা এক দাবি, ভিসির পদত্যাগে অনড় থাকেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার দিবাগত রাত ১ টা থেকে সোয়া দুইটা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষ করে বিষয়টি গণমাধ্যমকে অবহিত করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।

এসময় নাদেল বলেন, 'শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় আন্তরিক ভাবে শিক্ষার্থীদের সকল কথা শুনেছেন। তারপর শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছেন প্রশাসনিক ভাবে কিংবা একাডেমিক ভাবে কোন শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হবে না। তাদের সকল দাবিদাওয়া আলোচনার মাধ্যমে মেনে নেওয়া হবে জানিয়ে অনশন ভাঙার কথা বলেন। তখন শিক্ষার্থীরা সকাল পর্যন্ত সময় চান।
এবং সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করে তারা জানাবেন বলেও জানান।'

তিনি বলেন, আপনারা ইতোমধ্যে জানেন সন্ধ্যায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বৈঠক হয়। বৈঠকের পর রাতে শিক্ষার্থীরা আমাকে জানান তারা শিক্ষামন্ত্রীর সাথে অনলাইনে আলোচনায় বসতে চান। এর প্রেক্ষিতে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী।

অপরদিকে বৈঠক সূত্রে জানা যায়, এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ভিসির পদত্যাগে জোর দাবি জানালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, গত চার বছর উনি বিশ্ববিদ্যালয় ভালো চালিয়েছেন। তাই দ্বিতীয় মেয়াদে উনাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে মানুষ হিসেবে ভুল হতেই পারে। সে ক্ষেত্রে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু পদত্যাগই একমাত্র সমাধান না। তবে শিক্ষার্থীরা এক দফা এক দাবিতে অনড় থাকেন। পরে শিক্ষামন্ত্রী দুপুর ১ টার সময় তাঁর সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেন এবং দাবিগুলো লিখিত আকারে দিতেও বলেন।

এর আগে শনিবার মধ্যরাতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।

এসময় তার সাথে ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার শাহা।

আলোচনায় অনশনকারীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত আছেন শাহরিয়ার আবেদিন, জাহিদুল ইসলাম অপূর্ব, মীর রানা, সাব্বির আহমদ, নাফিসা আঞ্জুম ইমু, রোমিয়, উমর ফারুক, ইয়াসির সরকার, সাদিয়া আফরিন, মোহাইমিনুল বাশার রাজ প্রমুখ।

আলোচনা শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে
কথা বলেন মোহাইমিনুল বাশার রাজ। তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী অনশন ভেঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার কথা বলেন। তখন আমরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে সময় চাই। পরে আমরা অন্যান্য অনশনকারীদের সাথে আলোচনা করলে তারা অনশন ভাঙতে রাজি হননি। সে ক্ষেত্রে আমরা আমাদের দাবিতে অনড় থাকব এবং দুপুরে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে এ দাবি নিয়েই আলোচনা হবে।

এর আগে গত শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আন্দোলনকারীদের মুঠোফোনে কথা বলিয়ে দেন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। এসময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার প্রস্তাব দেন এবং প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসার আহ্বান জানান। প্রথমে শিক্ষার্থীরা ঢাকায় আসতে সম্মত হলেও পরে অনশনকারী সহপাঠীদের কথা বিবেচনায় ঢাকায় না গিয়ে অনলাইনে আলোচনার প্রস্তাব দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় গিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন। এ বৈঠকের পর সন্ধ্যায় অনলাইনে আলোচনার কোন সিদ্ধান্ত না আসলেও রাত ১২ টায় আসে অনলাইনে আলোচনার সিদ্ধান্ত। এর প্রেক্ষিতেই হয় আলোচনা।

অপরদিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাত ৩ টায় ১৬ জন অনশনকারী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। নতুন করে দেওয়া গণঅনশন কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছেন আরও তিন জন শিক্ষার্থী।

মূলত গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুন্নেছা ছাত্রী হলের প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে শুরু হয় ছাত্রী আন্দোলন। পরে এসব দাবি আদায়ে আন্দোলনকারীরা এক পর্যায়ে ১৬ জানুয়ারি দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদকে অবরুদ্ধ করেন। তাকে উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ওইদিন সন্ধ্যায় পুলিশের লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনায় আহত হন অর্ধশত শিক্ষার্থী। এর পর থেকেই ছড়ায় উত্তাপ, শুরু হয় উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি। আন্দোলন গত ১৯ জানুয়ারি অনশনে গড়ায়। এতে আমরণ অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
amir
২৩ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার, ১০:২৩

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পক্ষ থেকে অনশন ভাঙার প্রস্তাব এল-------ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের প্রস্তাব এলনা!

অন্যান্য খবর