× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

২০২১ সালে সড়কে ঝরলো ৭৮০৯ প্রাণ

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ২৩, ২০২২, রবিবার, ১২:২২ অপরাহ্ন

২০২১ সালে ৫৬২৯টি দুর্ঘটনায় সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৮০৯ জন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৯০৩৯ জন। এছাড়া রেলপথে ৪০২টি দুর্ঘটনায় ৩৯৬ জন নিহত ও ১৩৪ জন আহত হয়েছে। নৌপথে ১৮২টি দুর্ঘটনায় ৩১১ জন নিহত ও ৫৭৮ জন আহত এবং ৫৪৪ জন নিখোঁজ হয়েছে। সড়ক, রেল, নৌপথে সর্বমোট ৬২১৩টি দুর্ঘটনায় ৮৫১৬ জন নিহত ও ৯৭৫১ জন আহত হয়েছে।
আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত ‘বার্ষিক সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০২১ প্রকাশ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্র সমূহে প্রচারিত সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এতে দেখা গেছে, এসব দুর্ঘটনা কবলে পড়েছে ২৩৫০ জন চালক, ১৭১৫ জন পথচারী, ১০১৭ জন পরিবহণ শ্রমিক, ৪৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী, ১১১ জন শিক্ষক, ২৩৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১০৭৬ জন নারী, ৬৩৮ জন শিশু, ৪২ জন সাংবাদিক, ২৭ জন চিকিৎসক, ১৪ জন আইনজীবী ও ১৮ জন প্রকৌশলী এবং ১৬১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও ১০ জন মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
এর মধ্যে ১৪৩১ জন পথচারী, ২৬ জন সেনা সদস্য, ৫২ জন পুলিশ, ০৪ জন আনসার সদস্য, ০৫ জন র‌্যাব সদস্য, ০৬ জন বিজিবি সদস্য, ০১ জন বিমানবাহিনীর সদস্য, ০৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ১২ জন সাংবাদিক, ৭১৩ জন নারী, ৪৮১ জন শিশু, ৩২৯ জন শিক্ষার্থী, ৮৯ জন শিক্ষক, ১৮১৫ জন চালক, ৪৩১ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৪ জন প্রকৌশলী, ১১ জন আইনজীবী, ৮৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও ১৮ জন চিকিৎসক নিহত হওয়ার খবর দেশের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
পত্রিকায় প্রাকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এসব দুর্ঘটনায় বার্ষিক ক্ষয়ক্ষতি জিডিপির প্রায় ১.৫ শতাংশ। এসব হতাহতদের ৭৮.৩৯ শতাংশ ১৫ থেকে ৪৫ বছরের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসে ৫৫৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৭১ জন নিহত, ৯২২ জন আহত হয়েছে। ফেব্রুয়ারী মাসে ৪৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৫৬ জন নিহত, ৭৫০ জন আহত হয়েছে।
মার্চ মাসে ৫০৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪৬ জন নিহত, ৮৫৬ জন আহত হয়েছে। এপ্রিল মাসে ৪৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৮ জন নিহত, ৫০৭ জন আহত হয়েছে। মে মাসে ৫৯৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬১৫ জন নিহত, ১০০৮ জন আহত হয়েছে। জুন মাসে ৪৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৬ জন নিহত, ৭৬২ জন আহত হয়েছে। জুলাই মাসে ৪১৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৫ জন নিহত, ৬৬৯ জন আহত হয়েছে। আগস্ট মাসে ৪০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৩২ জন নিহত, ৬১৬ জন আহত হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে ৪০৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪১ জন নিহত, ৭৩৫ জন আহত হয়েছে। অক্টোবর মাসে ৪৭৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০৬ জন নিহত, ৭৫৮ জন আহত হয়েছে। নভেম্বর মাসে ৪৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৩ জন নিহত, ৭০৫ জন আহত হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে ৪৫৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৩ জন নিহত, ৭৫১ জন আহত হয়েছে।
২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ১৩.১১ শতাংশ, নিহত ১৪.৩৮ শতাংশ ও আহত ৪.৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখিত সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৭৭৩০টি যানবাহনের পরিচয় গণমাধ্যমে পাওয়া গেছে, যার ৩০.৪২ শতাংশ ট্রাক, পিকআপ, লরি ও কাভার্ডভ্যান, ২৫.৫৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১০.৭৬ শতাংশ বাস, ৯.৬৪ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা ৮.৭৩ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৮.৬৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা, রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক, ৬.১৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫৪.০৭ শতাংশ পথচারীকে গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনা, ২২.১৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৬.১৩ শতাংশ খাদে পড়ে, ৬.২১ শতাংশ বিবিধ কারনে, ০.৫৩ শতাংশ চাকায় ওড়না পেছিয়ে এবং ০.৮৭ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত যানবাহনের ০.৭৯ শতাংশ মোটরসাইকেলে, ০.৭৬ শতাংশ কার-জীপ-মাইক্রোবাসে ০.২১ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে ৮৫ দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ২.৩৬ শতাংশ বাস দুর্ঘটনা, ১ শতাংশ নসিমন-মাহিন্দ্রা-লেগুনা দুর্ঘটনা, ০.৪ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা-ভ্যান-ইজিবাইকে দুর্ঘটনা কমেছে।
পরিসংখ্যানের তুলনামূলক বিশ্লেষণে আরো দেখা গেছে, ২০২০ সালের তুলনায় বিদায়ী ২০২১ সালে পথচারীকে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা ১.১১ শতাংশ, ট্রেন যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ০.০৬ শতাংশ, মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ০.১১ শতাংশ, চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে নিহতের ঘটনা ০.১৯ শতাংশ বেড়েছে। নিয়ন্ত্রণ হায়িয়ে খাদে পড়ার ঘটনা ০.৯৫ শতাংশ ও অন্যান্য বিবিধ ঘটনা ০.৫ শতাংশ কমেছে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই বছর মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩১.৫১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৯.২৯ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২০.৩৪ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারাদেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫.৩১ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ২.৬৬ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৮৭ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।
দীর্ঘ প্রায় ০৩ মাস গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরেও বিগত বছরের চেয়ে বিদায়ী বছরে জাতীয় মহাসড়কে ২.৫৮ শতাংশ, ফিডার রোডে ১.২৩ শতাংশ, রেলক্রসিং এ ০.০৬ শতাংশ দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে তবে আঞ্চলিক মহাসড়কে ৫.৪ শতাংশ দুর্ঘটনা কমেছে।

বিগত ০৭ বছরে ৩৭৪২২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫১৬৬৫ জন নিহত ও আহত হয়েছে ১০০৩৯৭ জন। পরিসংখ্যান মতে, ২০১৫ সালে ৬৫৮১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৬৪২ জন নিহত, ২১৮৫৫ জন আহত হয়েছে। ২০১৬ সালে ৪৩১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০৫৫ জন নিহত, ১৫৯১৪ জন আহত হয়েছে। ২০১৭ সালে ৪৯৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৩৯৭ জন নিহত, ১৬১৯৩ জন আহত হয়েছে। ২০১৮ সালে ৫৫১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭২২১ জন নিহত, ১৫৪৬৬ জন আহত হয়েছে। ২০১৯ সালে ৫৫১৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৮৫৫ জন নিহত, ১৩৩৩০ জন আহত হয়েছে। ২০২০ সালে ৪৮৯১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৬৮৬ জন নিহত, ৮৬০০ জন আহত হয়েছে। ২০২১ সালে ৫৬২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৮০৯ জন নিহত, ৯০৩৯ জন আহত হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর